Rahul Dravid

মাথায় উঠল অনুশীলন! মাঠে কাকে দেখে ছুটে গেলেন দ্রাবিড়, রোহিতরা

চোট-আঘাত নয়। জস বাটলাররাও নন। সেমিফাইনালের আগের দিন ভারতীয় শিবিরের উদ্বেগ অন্য বিষয়ে। সেই উদ্বেগ কমাতে কোচ, অধিনায়ক ছুটলেন অনুশীলন ফেলে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২২ ১৯:২৬
Share:

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের আগে উদ্বিগ্ন রোহিত এবং দ্রাবিড়। ছবি: টুইটার।

অনুশীলন করছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। অথচ সে দিকে নজর নেই কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের। অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও দেখা যাচ্ছে না নেটের কাছাকাছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগের দিন কোথায় গেলেন দ্রাবিড়, রাহুলরা? দেখা গেল তাঁরা ব্যস্ত অন্য কাজে।

Advertisement

রোহিত বা বিরাট কোহলির চোট নয়। সেমিফাইনালের আগে ভারতীয় শিবিরের চিন্তা অ্যাডিলেডের ২২ গজ। বুধবার অনুশীলনের সময় উইকেটের চরিত্র বুঝতেই অনেকটা সময় ব্যয় করলেন ভারতীয় দলের কোচ এবং অধিনায়ক। ভারতের অনুশীলনের সময় মাঠে ছিলেন অ্যাডিলেডের পিচ প্রস্তুতকারী। সেমিফাইনালের উইকেটের রক্ষণাবেক্ষণ করছিলেন তিনি। তাঁকে দেখেই ২২ গজের কাছে চলে যান দ্রাবিড়। তাঁকে দেখে সে দিকে হাঁটতে শুরু করেন রোহিতও। বুধবারের উইকেটের চরিত্র সম্পর্কে তাঁরা কথা বলেন পিচ প্রস্তুতকারীর সঙ্গে। দীর্ঘক্ষণ ধরে নানা প্রশ্ন করতে দেখা যায় তাঁদের। উইকেটের গতি, বাউন্স সম্পর্কে খোঁজ নেন। যদিও তাঁরা কতটা তথ্য পেয়েছেন তা জানা যায়নি।

ভারত-ইংল্যান্ড যে পিচে খেলা হবে সেটা নতুন নয়। সুপার ১২ পর্বের দক্ষিণ আফ্রিকা-নেদারল্যান্ডস এবং পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ হয়েছে এই উইকেটে। ভারতও এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে খেলেছে। তবে সেই ম্যাচের উইকেট ছিল অন্য। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটগুলোর মধ্যে অ্যাডিলেডের উইকেট তুলনায় মন্থর। বল কিছুটা থেমে ব্যাটে আসে। সুবিধা পান স্পিনাররাও। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে ভারতীয় দলের। কোচ দ্রাবিড় বলেছেন, অ্যাডিলেডের সেই ম্যাচে ভারতের স্পিন আক্রমণ তেমন কার্যকর হয়নি। অর্থাৎ, অতীত অভিজ্ঞতার সঙ্গে মেলেনি। শাকিব আল হাসানের দলের বিরুদ্ধে রোহিতরা জিতলেও পরিকল্পনা কাজে আসেনি ঠিক মতো। তাই সেমিফাইনালের আগে চিন্তিত দ্রাবিড়রা। ভারতীয় দল সূত্রে খবর, বুধবারও পিচে জল দেওয়া হয়েছে। ভারী রোলার ব্যবহার করা হয়েছে। ঘাস প্রায় নেই। ভারতীয় শিবির মনে করছে স্পিনাররা সুবিধা পেতে পারেন সেমিফাইনালে।

Advertisement

উইকেট ছাড়া আরও একটি বিষয় চিন্তায় রেখেছে ভারতীয় শিবিরকে। তা হল মাঠের আকার। উইকেটের দু’পাশের বাউন্ডারি বেশ ছোট। ৬৮ মিটারের মধ্যে। কিন্তু উইকেটের সোজাসুজি বাউন্ডারি বেশ বড়। প্রায় ৯০ মিটার। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রণকৌশল তৈরি করতে উইকেটের পাশাপাশি মাঠের আকারকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন দ্রাবিড়।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই ম্যাঠে খেলা শেষ ১২টি ইনিংসের ছ’টিতে ১৫০ রানের বেশি হয়েছে। অর্থাৎ, উইকেটের দু’পাশের বাউন্ডারির দূরত্ব কম হলেও ব্যাটারদের থেকে বোলাররাই বেশি সুবিধা পান অ্যাডিলেডে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement