T20 World Cup 2022

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ নিয়ে লেগে গেল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের

রাজনীতির অলিন্দে ক্রিকেটের উত্তাপ। একটি ক্রিকেট ম্যাচকে ঘিরে রাষ্ট্রপ্রধানদের কথার লড়াই তেমন দেখা যায় না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জ়িম্বাবোয়ে-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে সেটাও বাকি থাকল না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

জ়িম্বাবোয়ে-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তাপ ছড়াল রাজনৈতিক মহলেও। জ়িম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপতি এমারসন ডাম্বুডজ়ো নানগাগওয়ার রসিকতার জবাব দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়েছে জ়িম্বাবোয়ে। দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত জ়িম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপতি। টুইটারে অভিনন্দন জানান ক্রেগ আরভিনদের। সেই সঙ্গে খোঁচা দেন পাকিস্তানকে। এমারসন লেখেন, ‘জ়িম্বাবোয়ের জন্য একটা দুর্দান্ত জয়। শেভরনদের অভিনন্দন। পরের বার আমরা আসল মিস্টার বিনকে পাঠাব।’

পাকিস্তানের কৌতুক শিল্পী আসিফ মুহাম্মদের সুবাদে গত কয়েক দিন ধরেই নতুন করে খবরে উঠে এসেছে বিখ্যাত চরিত্রটি। যে চরিত্রের আসল রূপকার ব্রিটিশ অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসন। পাক শিল্পী আসিফও মিস্টার বিনের চরিত্র অনুকরণের জন্য বিখ্যাত। তাঁকে নিয়ে বিস্তর চর্চাও হয়। অনেকে তাঁকে নকল মিস্টার বিন বলে ডাকেন। বিষয়টি অজানা নয় জ়িম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপতিরও। সেই প্রসঙ্গ তুলেই পাকিস্তানে আসল মিস্টার বিনকে পাঠানোর কথা বলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, আসিফ ২০১৬ সালে এক বার জ়িম্বাবোয়েতে গিয়ে অনুষ্ঠান করেছিলেন। তাই সে দেশের মানুষের কাছে তিনি পরিচিত মুখ।

Advertisement

জ়িম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপ্রধানের এই রসিকতা পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো লেগেছে। এক জন রাষ্ট্রপ্রধানের কাছ থেকে এমন রসিকতায় খানিকটা চটেও গিয়েছেন শরিফ। জ়িম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপতিকে পাল্টা জবাব দিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমাদের হয়তো আসল মিস্টার বিন নেই। কিন্তু ক্রিকেটের আসল স্পিরিট রয়েছে। আমাদের পাকিস্তানিদের একটা মজার অভ্যাস রয়েছে। আমরা ঘুরে দাঁড়াতে জানি। রাষ্ট্রপতি মহোদয়, অভিনন্দন। আপনাদের দল সত্যিই ভাল খেলেছে।’

পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফ জবাব দিলেন জ়িম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপতি এমারসনকে। ছবি: ফাইল ছবি

একটি ক্রিকেট ম্যাচকে ঘিরে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এমন লড়াইয়ে মজা পেয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরাও। বহু মানুষ তাঁদের পক্ষে বা বিপক্ষে মন্তব্য করেছেন। অনেকে আবার আশা প্রকাশ করেছেন, ক্রিকেট মাঠের উত্তাপ রাজনীতির অলিন্দে পৌঁছলেও দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে তা প্রভাবিত করবে না। রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যেও বজায় থাকবে খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement