টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শতরানের পর গ্লেন ফিলিপ্স। ছবি: টুইটার
আরও একটি ম্যাচে জয় পেল নিউজ়িল্যান্ড। এশিয়া কাপজয়ী শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দাপট গ্লেন ফিলিপ্সের। তাঁর শতরানের দাপটে ১৬৭ রান তোলে কিউইরা। জবাবে ১০২ রানে শেষ শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কেন উইলিয়ামসনদের জয় যে এতটা সহজ হবে তা ম্যাচের শুরুতে বোঝা যায়নি। ১৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন উইলিয়ামসনরা। দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন (১) এবং ডেভন কনওয়ে (১) রান পাননি। অধিনায়ক উইলিয়ামসন করেন ৮ রান। সেই সময় নিউজ়িল্যান্ড যে বড় রান তুলতে পারবে তা মনে হয়নি সমর্থকদের। ফিলিপ্সের ভাবনা যদিও অন্য রকম ছিল।
নিউজ়িল্যান্ডের হয়ে ৬৪ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন ফিলিপ্স। দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেন তিনিই। ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৮৪ রানের জুটি গড়েন ফিলিপ্স। এর মধ্যে ২৪ বলে ২২ রান করেন মিচেল। বাকিটা ফিলিপ্সের। অন্য কোনও ব্যাটারও সে ভাবে রান পাননি। শেষ বেলায় মিচেল স্যান্টনার ৫ বলে ১১ রান করেন।
নিউজ়িল্যান্ডের রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কাও শুরু থেকে উইকেট হারাতে থাকে। বল হাতে ট্রেন্ট বোল্ট ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন কিউই পেসার। শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারানো নিউজ়িল্যান্ড ৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায়। ভানুকা রাজাপক্ষ (৩৪) এবং দাসুন শনকা (৩৫) কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা ছাড়া শ্রীলঙ্কার কোনও ব্যাটার দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। কিন্তু তাঁদের লড়াই যথেষ্ট ছিল না। ১০২ রানে শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিল নিউজ়িল্যান্ড। পরের ম্যাচ ছিল আফগানিস্তানের সঙ্গে। সেই ম্যাচ বৃষ্টির জন্য খেলাই হয়নি। তৃতীয় ম্যাচে জিতে তাঁদের সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। মূল পর্বে উঠে শ্রীলঙ্কাও তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল জয় দিয়ে। আয়ারল্যান্ডকে হারায় তারা। কিন্তু পরের দু’টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে গেল শ্রীলঙ্কা।