ইংল্যান্ডকে হারিয়ে উচ্ছ্বাস আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। ছবি: আইসিসি
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কি কালো ঘোড়া আয়ারল্যান্ড? প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দেওয়ার পরে এ বার ইংল্যান্ডকে হারাল তারা। এ বারের বিশ্বকাপের সব থেকে বড় দু’টি অঘটন দেখা গেল আয়ারল্যান্ডের হাত ধরে।
আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠতে পারেনি দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। যোগ্যতা অর্জন পর্বের শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আইরিশ বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ভাল ব্যাট করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। এক মাত্র কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ব্র্যান্ডন কিং। তিনি ৪৮ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস না খেললে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় লড়াই করার মতো রানও তুলতে পারত না। ২০ ওভারে নিকোলাস পুরানরা করেন ৫ উইকেটে ১৪৬ রান। আয়ারল্যান্ডের হয়ে বল হাতে নজর কাড়েন গ্যারেথ ডিলানি। ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭.৩ ওভারে ১ উইকেটে ১৫০ রান করে আয়ারল্যান্ড। শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন দুই আইরিশ ওপেনার। অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবির্নি ২৩ বলে ৩৭ রান করেন। তিন নম্বরে নেমে ভাল ব্যাটিং করেন উইকেটরক্ষক লোরকান টাকার। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৫ বলে ৪৫ রান করে। পল স্টার্লিং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৬৬ রান করে। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়ে মাঠেই কেঁদে ফেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অধিনায়ক পুরান।
বিশ্বকাপের মূলপর্বে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আরও এক বার সবাইকে অবাক করে দিল আয়ারল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে হারাল তারা। ২০১১ সালের এক দিনের বিশ্বকাপেও আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড। আরও এক বার বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই ছবি দেখা গেল। তবে এ বার ইংল্যান্ডের হারের খলনায়ক বৃষ্টি।
প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ রান করে আয়ারল্যান্ড। অভিজ্ঞ স্টার্লিং ১৪ রান করে আউট হয়ে গেলেও আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক বলবির্নি ভাল খেলেন। তাঁকে সঙ্গ দেন তিন নম্বরে নামা দলের উইকেটরক্ষক টাকার। দু’জনের মধ্যে ৮২ রানের জুটি হয়। দলকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করান তাঁরা। ২৭ বলে ৩৪ রান করে আউট হন টাকার। বলবির্নি ৪৭ বলে ৬২ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পরে বাকিরা রান পাননি। পুরো ২০ ওভার খেলতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। ১৯.২ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটাও ভাল হয়নি। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক জস বাটলার। আর এক ওপেনার অ্যালেক্স হেলস করেন ৭ রান। বেন স্টোকস ৬ রান করে আউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন দাউইদ মালান ও হ্যারি ব্রুকস জুটি। কিন্তু ১৮ রান করে ব্রুকসও আউট হয়ে যান। মালান করেন ৩৫ রান।
বৃষ্টির জেরে ১৪.৩ ওভারের পরে খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে তখনও ৫ রানে পিছিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। খেলা শুরু করার জন্য হাতে ছিল ১৪ মিনিট। কিন্তু বৃষ্টির বেগ ক্রমশ বাড়তে থাকায় আম্পায়াররা খেলা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হারতে হয় ইংল্যান্ডকে।