হতাশ ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বাটলার। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপে বিরাট ধাক্কা খেল ইংল্যান্ড। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সহজ জয়ের পরে তাদের হারতে হল আয়ারল্যান্ডের কাছে। তবে পুরো খেলা হল না। বৃষ্টির জেরে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে হারলেন জস বাটলাররা। যখন খেলা বন্ধ হয় তখন ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৫ রান পিছনে ছিলেন তাঁরা।
প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ রান করে আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টির জেরে খেলা যখন বন্ধ হয় তখন ইংল্যান্ডের রান ১৪.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৫। তখনও জয়ের জন্য ৩৩ বলে ৫৩ রান করতে হত ইংল্যান্ডকে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আর খেলা শুরু করা গেল না।
২০১১ সালের এক দিনের বিশ্বকাপেও আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড। আরও এক বার বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই ছবি দেখা গেল। তবে এ বার ইংল্যান্ডের হারের খলনায়ক বৃষ্টি।
টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বাটলার। অভিজ্ঞ পল স্টার্লিং ১৪ রান করে আউট হয়ে গেলেও আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবির্নি ভাল খেলেন। তাঁকে সঙ্গ দেন তিন নম্বরে নামা দলের উইকেটরক্ষক লোরকান টাকার। দু’জনের মধ্যে ৮২ রানের জুটি হয়। দলকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করান তাঁরা। ২৭ বলে ৩৪ রান করে আউট হন টাকার।
এই জুটি ভাঙতেই আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামে। বলবির্নি অর্ধশতরান করলেও বাকিরা রান পাননি। ফলে দলের রান অনেকটা কমে যায়। বলবির্নি ৪৭ বলে ৬২ রান করে আউট হয়ে যান। পুরো ২০ ওভার খেলতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। ১৯.২ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে মার্ক উড ও লিয়াম লিভিংস্টোন ৩টি করে উইকেট নেন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটাও ভাল হয়নি। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক বাটলার। আর এক ওপেনার অ্যালেক্স হেলস করেন ৭ রান। বেন স্টোকস ৬ রান করে আউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন দাউইদ মালান ও হ্যারি ব্রুকস। কিন্তু ১৮ রান করে ব্রুকসও আউট হয়ে যান। মালান করেন ৩৫ রান।
রানের গতি খুব কম ছিল ইংল্যান্ডের। জরুরি রানরেট বাড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে বড় শট খেলা শুরু করেন মইন আলি। কিন্তু তাতে দলকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। ১৪.৩ ওভারের পরে খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে তখনও ৫ রানে পিছিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। খেলা শুরু করার জন্য হাতে ছিল ১৪ মিনিট। কিন্তু বৃষ্টির বেগ ক্রমশ বাড়তে থাকায় আম্পায়াররা খেলা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হারতে হয় ইংল্যান্ডকে।