বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও বল হাতে আরশদীপের ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে। শেষ ওভারে মাথা ঠান্ডা রেখে বোলিং করেছেন। ছবি: টুইটার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে অনেকেই যশপ্রীত বুমরার না থাকা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁরাই এখন মজে গিয়েছেন আরশদীপ সিংহকে নিয়ে। ভারতের বাঁ হাতি এই পেসার প্রতি ম্যাচেই দলকে ভরসা দিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও বল হাতে তাঁর ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে। শেষ ওভারে মাথা ঠান্ডা রেখে বোলিং করেছেন।
আরশদীপের সাফল্যের মন্ত্র কী? কোন অস্ত্রে ভর করে তিনি সাফল্য পাচ্ছেন? সম্প্রচারকারী চ্যানেলে আরশদীপ বলেছেন, “আমি সব সময় ধারাবাহিকতায় বিশ্বাস করি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি আল্গা বল করা চলে না। নতুন হোক বা পুরনো বল, আমি দুটোতেই ভাল খেলতে চাই। উইকেটও নিতে চাই, রানও নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। পরশ মামব্রে (ভারতীয় দলের বোলিং কোচ) আমাকে রান আপ নিয়ে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। উনি বলেছেন, আমার সোজাসুজি বোলিং করতে এলে লাইন ঠিক থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার পিচে খারাপ লাইনে বল করলে চলবে না। তাই অতিরিক্ত চেষ্টা পরিশ্রম করছি।”
অস্ট্রেলিয়ার পিচে আরশদীপের বোলিংয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রণ দেখা যাচ্ছে। বিশেষত ডেথ ওভারে প্রতি ম্যাচেই দলকে ভরসা দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে আরশদীপ বলেছেন, “বিশ্বকাপের এক সপ্তাহ আগে পার্থে চলে এসেছিলাম। বিভিন্ন লেংথে বল করে অনুশীলন করেছি। অনুশীলনের সময় লেংথের পাশাপাশি বাউন্সের দিকে আলাদা করে নজর দিয়েছি। প্রস্তুতি ভাল হলে ফলাফলও ভাল হয়।”
ভারতের আর এক জোরে বোলার মহম্মদ শামিও বিশ্বকাপে মাতিয়ে দিচ্ছেন। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতের হয়ে সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে খেলেননি শামি। আবার সেই সুযোগ আসে এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ের পর শামি বলেন, “পুরোটাই নির্ভর করে প্রস্তুতির উপর। আর আমাদের দল সব সময় তৈরি থাকতে বলে। সেই কারণে দলের যখন দরকার, তখনই ডেকে নিতে পারে। আমার ভিডিয়োগুলো যদি দেখেন তা হলে বুঝবেন যে, আমি প্রস্তুতির মধ্যেই ছিলাম। সব সময় অনুশীলন করেছি।”
ইংল্যান্ড সফরে খেলার পর থেকে ভারতীয় দলের বাইরেই ছিলেন শামি। দলে নেওয়া হলেও খেলা হয়নি অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। শামি বলেন, “লাল বল থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে নেমে পড়াটা সহজ নয়। দলের সঙ্গে তোমার যোগাযোগ কতটা, তার উপর নির্ভর করে অনেক কিছু। হ্যাঁ, আমি গত বিশ্বকাপের পর আবার এ বছর বিশ্বকাপে খেলছি। এটার জন্য এক জন ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাস লাগে। বলের রং বদলের চেয়েও সেটা গুরুত্বপূর্ণ। অনুশীলন তো অবশ্যই প্রয়োজন।”