ভারতের বিরুদ্ধে ভাল বল করতে পারেননি শাহিন। —ফাইল চিত্র
গত বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন ভারত বধের নায়ক। অথচ এ বারের বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে বল হাতে কিচ্ছু করতে পারেননি শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিনি যে শুধু উইকেট নিতে পারেননি তা নয়, চার ওভারে ৩৪ রান দিয়েছেন। তাঁকে খেলানোয় ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াকার ইউনিস। কেন শাহিনকে খেলানো হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজ়মের সমালোচনা করেছেন ওয়াকার।
ওয়াকারের মতে আধা সুস্থ শাহিনকে খেলিয়ে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়ুল মেরেছেন বাবররা। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘শাহিন কেমন বোলার আমরা সবাই জানি। কিন্তু শাহিনকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল ও পুরো সুস্থ নয়। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে শাহিন দলে ছিল না। তখনই আমি বাবরকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, শাহিন যদি বিশ্বকাপে খেলে তা হলে সেই সিরিজ়ে কেন নেই? ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে মোট ৬ ওভার বল করেছে শাহিন। এ ভাবে কাউকে মাঠে নামিয়ে দিলে এটাই হবে। বাবর ভুল করেছে।’’
শাহিন সুস্থ না থাকায় তিনি দলের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে মনে করেছেন ওয়াকার। তিনি বলেছেন, ‘‘এই শাহিনকে আমরা চিনি না। ও একেবারেই ছন্দে নেই। ছন্দে না থাকা শাহিনকে নিয়ে দলের বোঝা বাড়িয়েছে বাবর। এমনিতেই পাঁচ বোলারে খেলছে পাকিস্তান। সেখানে এক জন বোলার ছন্দে না থাকলে দল চাপে পড়ে যায়। ভারতের বিরুদ্ধে সেটাই হয়েছে।’’
একই সুরে কথা বলেছেন পাকিস্তানের আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক আক্রম। তিনি বলেছেন, ‘‘চোটের আগে শাহিন যে ভাবে দৌড়ত, চোটের পরে সে ভাবে দৌড়চ্ছে না। এর থেকেই পরিষ্কার যে ও এখনও পুরো সুস্থ হতে পারেনি। গতিও অনেকটা কমেছে। যেখানে চাইছে সেখানে বল ফেলতে পারছে না। তাই মার খাচ্ছে। বাবরের উচিত ছিল সম্পূর্ণ সুস্থ বোলারকে নামাতে। কিন্তু ও নামের পিছনে গেল।’’
চোট পুরো না সারলে দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে জোরে বোলাররা সমস্যায় পড়েন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের আর এক অধিনায়ক মিসবা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার অধিনায়কত্বে উমর গুল, সোহেল তনবীরদের দেখেছি চোট সারিয়ে ফিরে দ্বিতীয় স্পেলে সমস্যায় পড়তে। কারণ, প্রথম স্পেলে শরীর তাজা থাকে। পরের স্পেলে সেটা থাকে না। এটা দলের ক্ষতি করে। শাহিনও দ্বিতীয় স্পেলে মার খেয়েছে। এটা বাবরের ভাবা উচিত ছিল।’’