জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা তাসকিন। ছবি: এএফপি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রবিবার দিনটা ভাল গেল বাংলাদেশের। এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল তারা। ৩ রানে জ়িম্বাবোয়েকে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের টিকিয়ে রাখলেন শাকিব আল হাসানরা। সেই সঙ্গে চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বাংলাদেশের বোলার তাসকিন আহমেদ। জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৩ উইকেট নিয়ে এই নজির গড়েছেন তিনি।
এ বারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে ৮ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। তাঁর পরে রয়েছেন ইংল্যান্ডের বাঁ হাতি পেসার স্যাম কারেন। তিনি তিন ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট। তিন ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে তিন নম্বরে নিউজ়িল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।
তালিকায় চার নম্বরে রয়েছেন চার জন বোলার। ৫টি করে উইকেট ভারতের আরশদীপ সিংহ, দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিখ নখিয়া, নিউজ়িল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার ও ইংল্যান্ডের মার্ক উডের। চার উইকেট নিয়ে তালিকায় রয়েছেন চার বোলার। তাঁরা হলেন পাকিস্তানের মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, জ়িম্বাবোয়ের সিকন্দর রাজা, নিউজ়িল্যান্ডের টিম সাউদি ও শ্রীলঙ্কার মাহেশ থিকশানা।
উল্লেখ্য, প্রথম পাঁচে থাকা ১১ জন বোলারের মধ্যে আট জন পেসার। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে যে পেসাররা সুবিধা পাচ্ছে সেটা এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। তাঁর দাপটে জ়িম্বাবোয়ের দুই ওপেনার অল্প রানে সাজঘরে ফেরেন। তাসকিনের হাত ধরেই জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে শুরুতে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নেয় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩ রানে ম্যাচ জেতেন শাকিবরা।
স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন তাসকিন। নিজের বোলিং নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি শুধু নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যতটা পারছি উন্নতি করার চেষ্টা করছি। দেশের মাটিতে আমরা যে উইকেটে খেলি সেটা অনেক মন্থর। কিন্তু এখানে উইকেটে গতি ও বাউন্স আছে। তাই পেস বোলাররা সুবিধা পাচ্ছে। উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বল করেছি।’’
দলের বাকি পেসারদের নিয়েও উচ্ছ্বসিত তাসকিন। বলেছেন, ‘‘আমাদের পেস আক্রমণ খুব ভাল। আমরা একে অপরকে সাহায্য করি। দল হিসাবে খেলার চেষ্টা করি। দলের পেস বোলিংয়ের উন্নতির পিছনে আমাদের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের বড় ভূমিকা রয়েছে। আশা করছি আগামী দিনে আরও উন্নতি করব।’’
তবে শেষ ওভারে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাসকিন। বাংলাদেশের বোলার বলেছেন, ‘‘শেষ বল নো হওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। এই ধরনের ঘটনা আমি প্রথম বার দেখলাম। শেষ পর্যন্ত জিতেছি। এই জয় খুব দরকার ছিল।’’