শেষ ওভারে তখন জমে গিয়েছে নাটক। আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলছেন ক্রিকেটাররা। ছবি: এএফপি
টান টান উত্তেজনার ম্যাচের শেষ মুহূর্তে নাটক। বাংলাদেশ-জ়িম্বাবোয়ে ম্যাচ শেষ হয়েও শেষ হল না। একটি বল খেলার জন্য মাঠে নামতে হল দু’দলকে। আম্পায়ারদের। বেরিয়ে যেতে হল মাঠকর্মীদের।
জয়ের জন্য শেষ বলে জ়িম্বাবোয়ের দরকার ছিল ৫ রান। সেই বলেই স্টাম্পড আউট হয়ে গেলেন রিচার্ড গাভারা। ৪ রানে ম্যাচ জিতে উচ্ছ্বাসে মাতলেন শাকিব আল হাসানরা। ব্যাটিং বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে আশা জাগিয়েও জিততে না পেরে হতাশায় মাঠ ছাড়লেন জ়িম্বাবোয়ের ক্রিকেটাররা। মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন দুই আম্পায়ারও। শুধু তাই নয়, খেলা শেষে মাঠের পরিচর্যা করতে নেমে পড়েছেন মাঠকর্মীরাও। নাটকের শুরু এর পরেই।
তৃতীয় আম্পায়ার জানালেন খেলা শেষ হয়নি। আরও অন্তত একটি বল খেলতেই হবে দু’দেশকে। সে কী কথা! কেন? তৃতীয় আম্পায়ার জানালেন শেষ বল ‘নো’ হয়েছে। দোষ বোলার মোসাদ্দেক হোসেনের নয়। ভুল করেছেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান। গাভারাকে দ্রুততার সঙ্গে স্টাম্প আউট করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটিয়েছেন তিনি। বল উইকেট পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই তালুবন্দি করেছেন তিনি। অর্থাৎ, স্টাম্পের সামনে থেকে বল সংগ্রহ করেছেন উইকেটরক্ষক নুরুল। সে কারণেই ‘নো’ বল।
তৃতীয় আম্পায়ারের নির্দেশে চার মিনিট পর মাঠে নামতে হল দু’দলের ক্রিকেটারদের। দুই ফিল্ড আম্পায়ারকে। এবং মাঠ ছাড়তে হল মাঠকর্মীদের। নুরুলের একটা ছোট্ট ভুলই রক্তচাপ বাড়িয়ে দিল শাকিবদের। কারণ জয়ের জন্য জ়িম্বাবোয়ের লক্ষ্য দাঁড়াল ১ বলে ৪ রান। সেই বল আবার ফ্রি হিট। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনও ব্যাটারই বেপরোয়ার হবেন। পাল্টা চাল দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সব ফিল্ডারকে পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারি লাইনে। ১,২ রান দিতে তিনি রাজি। কিন্তু বাউন্ডারি যেন না হয়।
জ়িম্বাবোয়ের সামনে একটাই রাস্তা খোলা ছিল। বলকে আকাশপথে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া। কিন্তু তা পারেননি ব্লেসিং মুজারাবানি। সজোরে ব্যাট চালালেও লাভ হয়নি। মোসাদ্দেকের বল লাগল সোজা উইকেটে। ভাগ্য ভাল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতো উইকেট লেগে বল দূরে চলে যায়নি। জ়িম্বাবোয়ের ব্যাটাররা দৌড়ে রান নিয়ে বাংলাদেশের বিপদ বাড়াতে পারেননি। শেষ পর্ষন্ত ৩ রানে জিতে মাঠ ছাড়লেন শাকিবরা।