বৃষ্টির আগে ৭ ওভারে ৬৬ রান তুলে ভাল জায়গায় ছিলেন শাকিবরা। —ফাইল চিত্র
বৃষ্টির পর বাংলাদেশ খেলতে চেয়েছিল কি না তা নিয়ে দু’মেরুতে শাকিব আল হাসান এবং তাঁর দেশের বোর্ড। ভারতের বিরুদ্ধে হেরে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছিলেন, তিনি ম্যাচ না খেলতে চাওয়ার কথা বলেননি। কিন্তু তাঁর দেশের বোর্ড বলছে যে, শাকিব চাননি খেলা শুরু হোক।
বৃষ্টির আগে ৭ ওভারে ৬৬ রান তুলে ভাল জায়গায় ছিলেন শাকিবরা। কিন্তু বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতেই বিপত্তি। একের পর এক ব্যাটার আউট হতে থাকেন। বাংলাদেশ হেরে যায়। শাকিব চাননি ভেজা মাঠে খেলা শুরু হোক। তিনি আম্পায়ারদের বোঝানোর চেষ্টাও করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল আহমেদ বলেন, “মাঠ ভেজা নিয়েও কথা হয়েছিল আম্পায়ারদের সঙ্গে। শাকিব বারবার বলছিল যে, “আরও সময় নিয়ে মাঠ শুকাও, আরেকটু সময় নিয়ে খেলা শুরু করো।” কিন্তু আম্পায়ারদের, ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এটা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের সুযোগ ছিল না। সিদ্ধান্ত একটাই, আপনি খেলবেন কী খেলবেন না।”
সূত্রের খবর, মাঠ খেলার উপযোগী বলে মনে হয়নি শাকিবের। সেটাই তিনি আম্পায়ারদের বোঝাতে চেয়েছিলেন। শাকিব চাইছিলেন মাঠ না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এক সাংবাদিকের সঙ্গে বচসা হয় শাকিবের। সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন যে, মাঠে শাকিবের সঙ্গে আম্পায়ারের কী কথা হয়েছিল? উত্তরে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, “আম্পায়ার আমাদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। জানাচ্ছিলেন কত ওভার খেলা হবে, কত রান করতে হবে। সেই অনুযায়ী কী নিয়ম হবে।” শাকিব এক বারের জন্যেও স্বীকার করেননি যে, তিনি খেলতে চাননি।
বৃষ্টি পড়ার আগে ৭ ওভারে ৬৬ রান ছিল বাংলাদেশের। সেখান থেকে ৯ ওভারে ৮৫ রানের লক্ষ্য হয় শাকিবদের। ৫ রান বাকি থেকে শেষ হয় যায় তাঁদের ইনিংস। শাকিব বলেন, “বৃষ্টি তো আর আমাদের হাতে নেই। তাই আমাদের সেটা মেনে নিয়েই খেলতে হয়। ৯ ওভারে ৮৪ রান (৮৫) মতো করতে হত। এমন অবস্থায় অনেক দলই লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারত। দুর্ভাগ্য যে খুব কাছে গিয়েও আমরা পৌঁছতে পারিনি।”