হারের মধ্যেই আশার আলো দেখছেন বাবর। ছবি: টুইটার।
ভারতীয় ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষেও জয়ের আশা ছিল পাকিস্তানের। বিরাট কোহলির তাণ্ডবের পরেও প্রবল ভাবে লড়াইয়ে ছিলেন বাবর আজ়মরা। কিন্তু শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেও পারলেন না তাঁরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটা দুর্দান্ত হতে হয়েও হল না।
তীরে এসে তরী ডোবায় স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ পাক অধিনায়ক। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর বাবরের কথায় সেই হতাশাই ফুটে উঠল। ভারতের জয়ের জন্য তিনি কৃতিত্ব দিলেন বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পাণ্ড্যকে। মেনে নিলেন দ্রুত ভারতের চার উইকেট ফেলে দেওয়ার পরেও কোহলি-হার্দিকের ১১৩ রানের অনবদ্য জুটির কাছেই হারতে হয়েছে তাঁদের। বাবর বলেছেন, ‘‘হাড্ডাহাড্ডি খেলা হল। আমাদের বোলিংয়ের শুরুটা বেশ ভাল হয়েছিল। সব কৃতিত্বই কোহলি আর হার্দিকের। ওরা খেলার অভিমুখটাই বদলে দিল। অনবদ্য ভাবে শেষ করল খেলাটা।’’ ভারতের মতো পাকিস্তানের ব্যাটাররাও নতুন বলের বিরুদ্ধে সাফল্য পাননি। কেন? বাবর বলেছেন, ‘‘এই উইকেটে নতুন বলের বিরুদ্ধে ব্যাট করা সহজ ছিল না। বল বেশ সুইং করছিল। সিমে পড়ে ভাল আসছিল বল।’’
টান টান ম্যাচে হার নিয়ে বলেছেন, ‘‘সুযোগ আমাদেরও ছিল। সতীর্থদের শুধু বলেছিলাম নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে। কিন্তু কোহলিই ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেল। সব কৃতিত্বই ওর। আমাদের আরও উইকেট তুলতে হত। তাই প্রধান বোলারদের আগেই ব্যবহার করতে হয়েছে। মহম্মদ নওয়াজ়কে শেষ ওভারের জন্য রাখা ছাড়া উপায় ছিল না।’’
হারতে হলেও রবিবারের ম্যাচ থেকে কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। বাবর বলেছেন, ‘‘ইফতিকার আহমেদ দারুণ ব্যাট করেছে। শান মহম্মদও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকল। ওদের ইনিংস দু’টো অবশ্যই আমাদের জন্য ইতিবাচক।’’ হারের মধ্যেই আশার আলো দেখছেন বাবর। পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা নিয়ে কিছু দিন ধরেই সমালোচনা চলছিল। তাই মিডল অর্ডারের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারের রান পাওয়া স্বস্তি দিচ্ছে পাক অধিনায়ককে।