আবেগ গ্রাস করল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে। ছবি: আইসিসি
মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন বিরাট কোহলি। ভারতকে ম্যাচ জেতালেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই শুরু বিরাট-রাজ। মেলবোর্নের ইনিংসকে টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের সেরা বেছে নিলেন বিরাট। ভাষা হারিয়ে ফেললেন ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে। আবেগ গ্রাস করল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে শুরু করেছিল ভারত। সে বার অধিনায়ক ছিলেন বিরাট। এ বার মুকুট রোহিতের মাথায়। কিন্তু মাঠে রাজত্ব করল বিরাটের ব্যাট। পাকিস্তানের বোলাররা যখন ভেবেই নিয়েছিলেন ম্যাচ তাঁদের দিকে ঘুরতে শুরু করেছে, সেই সময় ম্যাচের রং পাল্টে দিলেন বিরাট। ১৯তম ওভারে হ্যারিস রউফকে শেষ দু’বলে মারা দু’টি ছক্কা পাল্টে দিল ম্যাচের ফল। এই ইনিংসকে সেরা মনে করছেন বিরাট। তিনি হাসতে হাসতে বলেন, “এত দিন আমার কাছে সেরা ছিল মোহালিতে ৫২ (যদিও সেটা ৫১ বলে করেছিলেন তিনি) বলে ৮২ রানের ইনিংসটা (২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে)। রবিবার ৫৩ বলে ৮২ রান করলাম। এটাই এগিয়ে থাকবে। এই ম্যাচের পরিস্থিতিটাই আলাদা ছিল। তবে দুটোই আমার কাছে খুব স্পেশাল।”
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে বিরাট বার বার বলেন, “আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কী বলব বুঝতে পারছি না।” ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে কথা বলতে এসে প্রথমে বিরাটের কথা শোনাই যাচ্ছিল না। মেলবোর্নে ভারতীয় সমর্থকরা চিৎকার করছেন, “বিরাট, বিরাট।” গত বছরের বদলা সঙ্গে বিরাটের ইনিংসের পর সমর্থকদের চিৎকারে মাঠেই কথা বলা অসম্ভব হয়ে যায়। তার মধ্যেই বিরাট বলেন, “আমার সত্যি কিছু বলার নেই। আমি জানি না কী হচ্ছে। হার্দিক (পাণ্ড্য) আমাকে বার বার বলছিল যে, বিশ্বাস রাখো আমরা পারব। আমি কিছু বলতে পারছি না। এটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমাদের কাছে হিসাব পরিষ্কার ছিল। হ্যারিস রউফকে যদি আমি আক্রমণ করতাম তা হলে পাকিস্তান চাপে পড়ে যাবে জানতাম। তাতেই শেষ ওভারে ১৬ রানের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলাম। অনেক মাস রান পাচ্ছিলাম না। সমর্থকরা আমার পাশে ছিল। ধন্যবাদ।”
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারত ৪ উইকেটে হারিয়ে দিল পাকিস্তানকে। প্রথমে ব্যাট করে ১৫৯ রান তোলে পাকিস্তান। শেষ বলে এসে সেই রান তুলে ম্যাচ জিতল ভারত। বিরাট ছাড়াও রান পেয়েছেন হার্দিক। তিনি ৩৭ বলে ৪০ রান করেন।