লক্ষ্য: সুদীপের সঙ্গে আলোচনায় সৌরাশিস ও অরুণ লাল। ছবি সিএবি।
দিল্লিতে ভয়ঙ্কর বায়ুদূষণের মধ্যেই চলছে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফির নক-আউট পর্ব। বুধবার ম্যাচের আগের দিন বাংলার ক্রিকেটারেরা অনুশীলন করতে নেমেছিলেন। তাঁদের কোনও অস্বস্তি না হলেও ঘোলাটে ধোঁয়াশার স্তর ছিল আকাশে। তারই মধ্যে দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত অনুশীলন করেন বাংলার ক্রিকেটারেরা। কারণ, সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার পরে বাংলার ক্রিকেটারেরা খালি হাতে ফিরতে চান না।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলার প্রতিপক্ষ কর্নাটক। গ্রুপ পর্বে দেবদত্ত পাড়িক্কল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণদের মতো তারকা নির্ভর দলের বিরুদ্ধেও জিতেছিল বাংলা। শেষ আটের লড়াইয়ে দেবদত্ত, মায়াঙ্ক, প্রসিদ্ধ নেই। তাঁদের ছাড়াই খেলতে হবে করুণ নায়ার, মণীশ পাণ্ডেদের। বাংলার কাছে তাই কাজ কিছুটা সহজ হলেও প্রতিপক্ষকে হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না কোচ অরুণ লাল। তিনি জানেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচের রং পাল্টাতে লাগে কয়েকটি ডেলিভারি। বিপক্ষে যে দলই আসুক, জিততে হলে শেষ পর্যন্ত লড়াই করতেই হবে। বাংলার ক্রিকেটারদের মধ্যেও এই মনোভাব ফুটে উঠেছে। হার-না-মানা লড়াই করতে তাঁরা প্রস্তুত।
বাংলা ও কর্নাটক ম্যাচের পিচে ঘাস রয়েছে। মাটিও নাকি শক্ত। বাংলা দলের কোচের অনুমান, ‘‘এখানে বল ঘুরবে না।’’ তাই চার পেসার নিয়েই নামার কথা ভাবা হচ্ছে। ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে গিয়েছেন ঈশান পোড়েল। তাই মুকেশ কুমার ও আকাশ দীপের সঙ্গে বাঁ-হাতি পেসার খেলাবে বাংলা। গীত পুরিকে নেওয়া হবে প্রথম একাদশে। চতুর্থ পেসার হিসেবে সায়ন ঘোষ, অলোক প্রতাপ সিংহ ও মহম্মদ কাইফের মধ্যে যে কোনও এক জনকে খেলানো হতে পারে। বাংলার কোচের কথায়, ‘‘চার পেসার নিয়ে খেলার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ধরনের শক্ত পিচে পেসাররা কিছুটা হলেও সাহায্য পেতে পারে। প্রচুর রান উঠতে দেখা যাবে। পিচে কোনও ফাঁটল নেই। মাটি খুবই শক্ত।’’
বিপক্ষ দলের শক্তি ও দুর্বলতা ইতিমধ্যেই দেখে নেওয়া হয়েছে ভিডিয়ো বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে। অরুণ জানেন, বিপক্ষ শিবিরে সবচেয়ে বড় বিপজ্জনক চরিত্রের নাম মণীশ পাণ্ডে। তাঁকে দ্রুত ফেরানোর লক্ষ্য নিয়েই নামছে বাংলা। অরুণের কথায়, ‘‘আমাদের বোলিং বিভাগ যথেষ্ট শক্তিশালী। শেষ ম্যাচে কর্নাটকের বিরুদ্ধে বোলাররাই জিতিয়েছিল। আশা করছি, শেষ আটের ম্যাচেও ওরা নিরাশ করবে না।’’
বাংলার হয়ে শেষ আটে ওপেন করবেন শ্রীবৎস গোস্বামী। ঋদ্ধিমান সাহার জায়গায় নেওয়া হয়েছে তাঁকে। শ্রীবৎসকে উপরের দিকে ব্যাট করানো হলে বাংলার রানের গতি শুরুতেই বেড়ে যেতে পারে বলেই মনে করেন অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। সুদীপ বলছিলেন, ‘‘ওপেনিংয়ে রান হলে বাকিরাও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। শ্রী-এর থেকে ভাল ইনিংস আশা করছে দল। প্রত্যেকেই জেতার জন্য মরিয়া।’’
মেয়েদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী রেলওয়েজ: মেয়েদের ওয়ান ডে প্রতিযোগিতার শেষ চারে বাংলা। আজ, বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষ রেলওয়েজ। আঙুলে চোটের জন্য বাংলার হয়ে খেলতে পারছেন না ঝুলন গোস্বামী। তবে ব্যাট হাতে ধারা গুজ্জরের তাণ্ডব, জেতার আশা তৈরি করেছে বাংলা শিবিরে। মিতালি রাজ, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়, পুনম রাউত, একতা বিস্তরা বিপক্ষে থাকলেও ভয় পাচ্ছেন না কেউ।