ভারতকে হারানো অস্ট্রেলিয়া দল। ছবি: রয়টার্স।
প্রত্যাশামতোই শ্রীলঙ্কা সিরিজ় থেকে সরে দাঁড়ালেন প্যাট কামিন্স। তাঁর জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভ স্মিথ। আবার অস্ট্রেলিয়ার নেতা হিসাবে ফিরলেন তিনি। ফের বাবা হতে চলেছেন বলে শ্রীলঙ্কা সিরিজ় থেকে নাম তুলে নিয়েছেন কামিন্স। পাশাপাশি গোড়ালির চোট সারানোর দিকেও মন দেবেন। ভারত সিরিজ় শেষেই এমন ইঙ্গিত তিনি দিয়েছিলেন।
সব মিলিয়ে ভারতকে যে অস্ট্রেলিয়া দল হারিয়েছিল সেখানে ছয় বদল হয়েছে। কামিন্স ছাড়াও চোটের কারণে জশ হেজ়লউড নেই। বাদ মিচেল মার্শ। দলে এসেছেন টড মারফি, ম্যাট কুনেম্যান এবং কুপার কনোলি।
কামিন্স না থাকায় জোরে বোলিংয়ে বিকল্প কমে গিয়েছিল। তাই অ্যাবটকে নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন মিচেল স্টার্ক এবং স্কট বোলান্ড। শ্রীলঙ্কায় স্পিনারেরা দাপট দেখান বলে নেথান লায়নের সঙ্গে মারফি এবং কুনেম্যানকে নেওয়া হয়েছে।
ভারত সিরিজ়ে বাদ পড়েছিলেন নেথান ম্যাকসুইনি। তিনি দলে ফিরেছেন। পাশাপাশি জাতীয় দলে প্রথম বার ডাক পেয়েছেন কনোলি। বাঁহাতি এই ব্যাটার দরকারে স্পিন বোলিংও করতে পারেন। রেখে দেওয়া হয়েছে স্যাম কনস্টাসকেও। হেজ়লউড চোটের কারণে এই সিরিজ়েও নেই। তবে মার্শকে বাদ দেওয়া উল্লেখযোগ্য। টেস্ট দল থেকে পাকাপাকি বাদ পড়লেন কি না, সেই জল্পনা তৈরি হয়েছে। দলে রেখে দেওয়া হয়েছে বিউ ওয়েবস্টারকে।
অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক প্রধান জর্জ বেইলি বলেছেন, “শ্রীলঙ্কা সফর আমাদের কাছে কঠিন হতে চলেছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিবেশের মোকাবিলা করতে হতে পারে। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রথম একাদশ নির্বাচন করার জন্য ভেবেচিন্তে ক্রিকেটার নেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গিয়েছে। তাই এই সিরিজ় কিছুটা হলেও নিয়মরক্ষার।