ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে চাননি স্মিথ ফাইল ছবি
গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ। শুরুটা করেছিলেন লেগ-স্পিনার হিসাবে। কিন্তু এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার। প্রথম চার জনের মধ্যেও রয়েছেন। তবে অস্ট্রেলিয়া নয়, ইংল্যান্ডের হয়ে হয়ত খেলতে দেখা যেত স্মিথকে। তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার প্রস্তাব ফেরান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেক হওয়ার আগেই ইংল্যান্ডে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন স্মিথ। তাঁকে তিন বছরের চুক্তিতে সই করাতে চেয়েছিল কাউন্টি ক্লাব সারে। স্মিথের কাছে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড দু’দেশেরই পাসপোর্ট ছিল। সারের হয়ে তিন বছর খেললে ইংল্যান্ড দলের দরজা খুলে যেতে পারত স্মিথের। কিন্তু তিনি তা করেননি। অস্ট্রেলিয়া ফিরে যান এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে খেলার পর জাতীয় দলে সুযোগ পান।
নিজের বইয়ে এ কথা লিখেছেন স্যাম রবসন, যিনি স্মিথের সঙ্গে সে সময় অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন এবং কাউন্টিতে ভাল পারফরম্যান্সের সুবাদে ইংল্যান্ডের হয়েও খেলেছেন। স্মিথ লিখেছেন, “নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে খেলে অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে চাপাতে চাই, নাকি সারের হয়ে খেলে ইংল্যান্ডে থাকতে চাই, সেই সিদ্ধান্ত আমাকেই নিতে হত। সারে জানত যে আমার কাছে ব্রিটিশ পাসপোর্ট রয়েছে। এক দিন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যালান বুচার খোদ আমায় ফোন করে তিন বছরের চুক্তির কথা বলে। সেই সময়ে প্রচুর অর্থের প্রস্তাব ছিল। আমি না করতে পারিনি।”
রবসন জানিয়েছেন, নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে শুরুতেই ভাল খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পান স্মিথ। ২০১০ সালে তিন ফরম্যাটেই অভিষেক হয় তাঁর। ২০১১ বিশ্বকাপের দলে ছিলেন বিশেষজ্ঞ লেগ-স্পিনার হিসাবে। পরে ব্যাটার হয়ে ওঠেন। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই জীবনের প্রথম শতরান করেন স্মিথ। শুধু সেটাই নয়, নির্বাসিত হওয়ার পর ইংল্যান্ডের মাটিতেই নিজের জাত চেনান। ২০১৯ অ্যাশেজ সিরিজে একটি দ্বিশতরান-সহ মোট ৭৭৪ রান করেন। অন্য দিকে, রবসনের অভিষেক হয় ২০১৪ সালে। সেই বছরই সাতটি টেস্ট খেলেন। পরে আর সুযোগ পাননি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।