রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র
দেওধর ট্রফিতে প্রথম জয় পেল মধ্যাঞ্চল। উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ৮ উইকেটে হারিয়েছেন রিঙ্কু সিংহেরা। অন্য দিকে প্রতিযোগিতায় জয়ের ধারা বজায় রেখেছে দক্ষিণাঞ্চল। এ বার পূর্বাঞ্চলকে হারিয়েছে তারা।
মধ্যাঞ্চলের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সমস্যায় পড়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। টপ অর্ডার রান পায়নি। মিডল অর্ডারে কয়েক জন শুরুটা করলেও বড় রান করতে পারেননি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। ফলে কোনও জুটি হয়নি। মধ্যাঞ্চলের অধিনায়ক বেঙ্কটেশ আয়ার আট জন বোলারকে ব্যবহার করেন। অধিনায়কের পরিকল্পনা কাজে লাগে। পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি উত্তর-পূর্বাঞ্চল। ৪৯ ওভারে ১৬৪ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রান তাড়া করতে সমস্যা হয়নি মধ্যাঞ্চলের। ওপেনার যশ কোঠারি শূন্য রানে আউট হলেও অপর ওপেনার শিবম চৌধরি ও যশ দুবে ১৫৩ রানের জুটি বাঁধেন। সেখানেই খেলা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। দুবে ৭২ রান করে আউট হলেও শিবম ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৩ ওভারে ৮ উইকেট বাকি থাকতে খেলা জিতে যায় মধ্যাঞ্চল। ব্যাট করতে নামতে হয়নি বেঙ্কটেশ ও রিঙ্কুকে।
অন্য দিকে পর পর তিন ম্যাচে জেতার পরে চতুর্থ ম্যাচে হারতে হয়েছে পূর্বাঞ্চলকে। দক্ষিণাঞ্চলের বোলারদের সামনে খুব একটা সাবলীল ব্যাটিং করতে পারেননি পূর্বাঞ্চলের ব্যাটারেরা। বিরাট সিংহ ৪৯ ও শুভ্রাংশু সেনাপতি ৪৪ রান করেন। রান পাননি অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সৌরভ তিওয়ারিরা। শেষ দিকে দলের রান ২০০ পার করেন আকাশ দীপ ও মুখতার হোসেন। আকাশ দীপ ২৬ বলে ৪৪ ও মুখতার ২২ বলে ৩৩ রান করেন। ৪৬ ওবারে ২২৯ রানে অল আউট হয়ে যায় পূর্বাঞ্চল।
দক্ষিণাঞ্চলের অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও ব্যাটার সাই সুদর্শনের কাঁধে জয়ের পথে এগোয় দল। মায়াঙ্ক ৮৪ রান করে আউট হন। সুদর্শন করেন ৫৩ রান। দুই ব্যাটার আউট হলেও অবশ্য ম্যাচ জিততে কোনও সমস্যা হয়নি তাঁদের। নারায়ণ জগদীশন ৩২ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৪৪.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে যায় দক্ষিণাঞ্চল।
দেওধর ট্রফির পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে দক্ষিণাঞ্চল। চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে তারা। পয়েন্ট ১৬। চার ম্যাচের মধ্যে তিনটে জিতে দ্বিতীয় স্থানে পূর্বাঞ্চল। তাদের পয়েন্ট ১২। তৃতীয় স্থানে পশ্চিমাঞ্চল। এক ম্যাচ কম খেলে তাদের পয়েন্ট ৮। চার নম্বরে মধ্যাঞ্চল। চার ম্যাচে একটি জিতে ৪ পয়েন্ট নিয়ে লড়াইয়ে রয়েছেন রিঙ্কুরা।