বাংলাদেশের ত্রাস কেশব মহারাজ। ছবি: এএফপি
আবার সেই কেশব মহারাজের ঘূর্ণি। আবার ইনিংসে সাত উইকেট মহারাজের। আবার বিপর্যয় বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও সাত উইকেট নিয়ে একাই শেষ করে দিলেন মোমিনুল হকদের।
জয়ের জন্য ৪১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে মোমিনুল হকরা গুটিয়ে গেলেন মাত্র ৮০ রানে। প্রথম টেস্টেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের জারিজুরি শেষ হয়ে যায় মাত্র ৫৩ রানে। সে বারও ঘাতকের নাম ছিল মহারাজ। তার থেকে কিছুটা বেশি রান করলেও আবার সেই লজ্জার হার।
প্রথম টেস্টের মতোই এ দিনও মহারাজের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ওপেনার তামিম ইকবাল ১৩ রান করলেও অন্য ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় খাতাই খুলতে পারেননি। তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ৭ রান করেন। ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করে বাংলাদেশ।
অধিনায়ক মোমিনুলের অবদান মাত্র ৫। উইকেটরক্ষক লিটন দাস (২৭) তবু প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তাঁকে কিছুটা সঙ্গ দেন মেহদি হাসান মিরাজ। তিনি ২০ রান করেন। সপ্তম উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ২৫ রান। এটাই বাংলাদেশের ইনিংসের সব থেকে বড় জুটি। সফরকারীদের পাঁচ ব্যাটার কোনও রানই করতে পারেননি। ৭ উইকেটে ৮০ থেকে কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই মাত্র সাত বলে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে ৩৩২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারল তারা।
মহারাজের হাতেই নতুন বল তুলে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগার। তৃতীয় বল থেকেই বাংলাদেশের ইনিংসে আঘাত হানতে শুরু করেন মহারাজ। তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ১২-৩-৪০-৭। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন সিমন হার্মার। তিনি ৩৪ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। দুই বোলার মিলেই মাত্র ২৩.৩ ওভারে বাংলাদেশের দ্বিতীয় তথা সিরিজের শেয টেস্টেও লজ্জার পরাজয় নিশ্চিত করেন দেন। তাদের দাপটে তৃতীয় কোনও বোলারকে প্রয়োজনই হল না প্রোটিয়া অধিনায়কের।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা দু’ইনিংসে করে যথাক্রমে ৪৫৩ এবং ৬ উইকেটে ১৭৬ (ডিক্লেয়ার)। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ২১৭ রান। এলগাররা চাইলে সফরকারীদের ফলোঅন করাতেও পারতেন। ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে এবং ৮৪ রান করে সেরা মহারাজ। সিরিজের সেরাও দক্ষিণ আফ্রিকার এই বাঁ হাতি স্পিনার।