সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে অতীতে একাধিক বার মুখ খুলেছেন তিনি। সেই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কও হয়েছে। তখন তিনি এ-ও বলেছেন, সেই মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। এহেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আবার আরজি কর-কাণ্ডে মুখ খুলেছেন। সোমবার শহরের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছেন যাতে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে শুনানি ছিল। পরবর্তী শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর। এ দিনের অনুষ্ঠানে সৌরভ বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে কী শুনানি হয়েছে তা আমি জানি না। কিন্তু এই আন্দোলনে যাঁরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এবং অরাজনৈতিক ভাবে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের মতো আমিও বিচার চাই। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আদালতের যে কোনও প্রক্রিয়াতেই একটু সময় লাগে। তবে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আমার অনুরোধ, এই মামলার রায় তাঁরা যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেন।”
সৌরভ আরও বলেছেন, “রায় এমন দৃষ্টান্তমূলক হওয়া চাই যাতে গোটা বিশ্বের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে যেন কেউ আর এমন ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়। মানুষ যে ভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করছেন তা দেখে আমি অভিভূত। আদালতে আবারও অনুরোধ, তাঁরা যেন দ্রুত এই মামলার রায় দেন।”
আরজি করের ঘটনার দু’দিন পরে একটি অনুষ্ঠানে প্রথম বার মুখ খুলে সৌরভ বলেছিলেন, “এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ছেলে হোক বা মেয়ে, কারও সঙ্গেই এমন হওয়া উচিত নয়।” তিনি আরও বলেছিলেন, “ভারতকে সাধারণত একটি নিরাপদ দেশ হিসাবেই গোটা বিশ্ব চেনে। বাংলাও নিরাপদ। সেখানে এ ধরনের ঘটনা হওয়া উচিত নয়।”
সেই মন্তব্যের ঠিক ছ’দিন পরে সৌরভ বলেছিলেন, ‘‘এই ঘটনা ভয়ঙ্কর। দোষীদের এমন শাস্তি হোক, যাতে ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে। সিবিআই তদন্ত করছে। আশা করব দোষী চিহ্নিত হবে।’’
গত ২০ অগস্ট রাত ১০.২০ মিনিটে সমাজমাধ্যমে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তাঁর ছবি মুছে দিয়েছিলেন। তার বদলে সেই জায়গাটি কালো করে দেন। এর কারণ কিছু না জানালেও মনে করা হয়েছিল, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ করার জন্যই সৌরভ এ রকম করেছিলেন।
তার পরের দিন, ২১ অগস্ট আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারের দাবিতে পা মিলিয়েছিলেন সৌরভের কন্যা সানা গঙ্গোপাধ্যায়ও। সে দিন পদযাত্রায় না থাকলেও মিছিলের পরে সকলের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন সৌরভও। তার পর থেকে এই ঘটনা নিয়ে তিনি চুপই ছিলেন। আবার মুখ খুললেন সোমবার। এ বার মহারাজের অনুরোধ সরাসরি সুপ্রিম কোর্টকে।