ভারত-সিরিয়া ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত।
ভারত ০
সিরিয়া ৩
জিততে হবে, এই মনোভাব নিয়েই নেমেছিল ভারতীয় ফুটবল দল। বদলে জুটল লজ্জার হার। আন্তর্মহাদেশীয় কাপে সোমবার সিরিয়ার কাছে ০-৩ গোলে হারল ভারতীয় দল। গোটা ম্যাচে যে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেছেন লালিয়ানজুয়ালা ছাংতেরা, তা কোচ মানোলো মার্কেজ়কে চিন্তিত করবেই। সুনীল ছেত্রীর বদলে গোল করার মতো ফুটবলার যে এখনও ভারতীয় দলে নেই, তা স্পষ্ট।
সুনীলের জায়গা কে পূরণ করবেন, তা নিয়ে জল্পনার অন্ত ছিল না। সুনীল নিজে কাউকে বেছে না নিলেও বেশ কয়েক জনের নাম করেছিলেন। তার মধ্যে লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে, মনবীর সিংহ, সাহাল সামাদেরা ন্যুনতম দাগ কাটতেও ব্যর্থ। গোল করা তো দূর, এমন সুযোগও তৈরি হচ্ছে না, যেখান থেকে গোল করা যায়। কোচ মার্কেজ়ের কৌশল নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। দু’টি ম্যাচেই ভারতীয় দলের মধ্যে কোনও আগ্রাসন দেখা যায়নি।
ম্যাচে দাপট নিয়ে শুরু করেছিল সিরিয়াই। সাত মিনিটে তারাই এগিয়ে যায়। গোল করেন মাহমুদ আলাসওয়াদ। বক্সের ডান দিক দিয়ে ঢুকে ক্রস ভাসানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নীল জার্সিধারীদের জঙ্গলে সুবিধা করতে পারেননি। বল ভারতীয় ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে তাঁর সামনেই পড়ে। পায়ের টোকায় গুরপ্রীতকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে দেন।
পাঁচ মিনিট পরে আবার গোলের সুযোগ এসেছিল তাদের সামনে। ভারতের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। তারা বল ক্লিয়ার করতেই পারেনি। সিরিয়ার খেলোয়াড় দূর থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন। তবে সেই প্রয়াস বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। এর পরেও ম্যাচের দখল ছিল সিরিয়ার খেলোয়াড়দেরই। ভারতীয়দের স্রেফ দর্শক বানিয়ে রেখেছিলেন তাঁরা। খারাপ ফুটবল দেখে হায়দরাবাদের সমর্থকেরাও চিৎকার করতে থাকেন।
এর মাঝেও একটি সুযোগ এসেছিল সিরিয়ার কাছে। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারেনি তারা। তবে ভারতের অবস্থা ছিল আরও খারাপ। তারা বিপক্ষের অর্ধেই যেতে পারছিল না। খেলা হচ্ছিল পুরোটাই ভারতের অর্ধে। ভারতের প্রথম ক্রস আসে ম্যাচের ২৬ মিনিটে। নন্দকুমার বক্সে বল ভাসিয়েছিলেন। ভারতের দুই খেলোয়াড় বিপক্ষের বক্সে হাজির থাকলেও সিরিয়ার গোলকিপার লাফিয়ে বল ধরে নেন। এর পরে বেশ কয়েক বার ভারত বিপক্ষের বক্সে হানা দেয়। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেনি।
আক্রমণের লক্ষ্যে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আশিস রাই এবং আপুইয়াকে নামিয়ে দেন মার্কেজ়। ছাংতে এবং নন্দকুমার এর পর দু’টি সুযোগ নষ্ট করেন। ৭৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে সিরিয়া। গোল করেন দালেহো। ৮৭ মিনিটে এডমুন্ডের শট বাঁচিয়ে দেন সিরিয়ার গোলকিপার। সংযুক্তি সময়ে লিস্টন কোলাসোর একটি শট ক্রসবারে লাগে। এর পরেই তৃতীয় গোল করেন সিরিয়া। পাবলোর গোলে নিশ্চিত হয় জয় এবং ট্রফি।