বেঙ্গালুরুর জয়ের নায়ক এলিস পেরি। ছবি: বিসিসিআই।
মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে প্লেঅফে উঠে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। প্রথমে ব্যাট করে হরমনপ্রীত কৌরের দল করে ১১৩ রান। জবাবে স্মৃতি মন্ধানার দল ১৫ ওভারে ৩ উইকেটে করল ১১৫ রান।
টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক মন্ধানা। তবে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দুই ওপেনার শুরুটা খারাপ না করলেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ব্যাটিং ধসের মুখোমুখি হতে হল হরমনপ্রীতের দলকে। বেঙ্গালুরুর এলিস পেরির বল সামলাতে পারলেন না মুম্বইয়ের ব্যাটারেরা। ফলে ১ উইকেটে ৬৫ থেকে সাত ওভারের ব্যবধানে ৭ উইকেটে ৮২ হয়ে যায় মুম্বই। ন্যাট সিভার ব্রান্ট (১০), হরমনপ্রীত (শূন্য), অ্যামেলিয়া কের (২), আমনজ্যোৎ কৌর (৪), পূজা বস্ত্রকার (৬) পর পর ফিরে গেলেন সাজঘরে। সকলেই পেরির শিকার। ১৫ রান খরচ করে ৬ উইকেট তুলে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার ৩৩ বছরের অলরাউন্ডার। মহিলাদের আইপিএলে এই প্রথম কোনও ক্রিকেটার ৬ উইকেট নিলেন।
তার আগে দুই ওপেনার প্রথম উইকেটের জুটিতে ৬ ওভারে ৪৩ রান তোলেন। হেইলি ম্যাথিউজ করলেন ২৩ বলে ২৬। ২টি করে চার এবং ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে। অন্য ওপেনার সজীবন সাজনার ব্যাট থেকে এল ২১ বলে ৩০ রানের ইনিংস। ৫টি চার এবং ১টি ছক্কা মারলেন তিনি। তার পর একপেশে দাপট দেখালেন পেরি। অসি অলরাউন্ডারের তৈরি করা চাপ সামলাতে পারলেন না মুম্বইয়ের পরের দিকের ব্যাটারেরাও। শেষ দিকে প্রিয়াঙ্কা বালা ছাড়া হরমনপ্রীতের দলের আর কেউই দু’অঙ্কের রান করতে পারেননি। তিনি অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে। ১৮ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২টি চার। ১৯ ওভারে ১১৩ রানে শেষ হয়ে যায় মুম্বইয়ের ইনিংস।
মন্ধানা এ দিন আট জন বোলারকে ব্যবহার করলেন। মুম্বইয়ের ব্যাটারদের থিতু হতে দিতে চাননি। সেই লক্ষ্যে তিনি অনেকটাই সফল। পেরির ৬ উইকেট ছাড়াও ১টি করে উইকেট নিয়েছেন চার জন। তাঁরা হলেন সোফি মোলিনাক্স, সোফি ডিভাইন, আশা শোভানা এবং শ্রেয়াঙ্কা পটেল।
জয়ের জন্য ১১৪ রান তাড়া করতে নেমে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল বেঙ্গালুরুও। লক্ষ্য কম থাকায় জয় পেতে অসুবিধা হয়নি মন্ধানাদের। রান পেলেন না দুই ওপেনার মন্ধানা (১১) এবং মোলিনাক্স (৯)। চার নম্বরে নেমে ডিভাইনও (৪) সুবিধা করতে পারলেন না। বলের পর ব্যাট হাতেও দলকে ভরসা দিলেন পেরি। তিন নম্বরে নামা পেরি দলের ইনিংসের হাল ধরলেন রিচা ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে। বাংলার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার পাঁচ নম্বরে নেমে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করলেন চাপের মুখে। পেরি-রিচার চতুর্থ উইকেটের জুটি বেঙ্গালুরুর ইনিংসকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দিল। পেরি অপরাজিত থাকলেন ৩৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে। মারলেন ৫টি চার এবং ১টি ছক্কা। রিচার ব্যাট থেকে এল ২৮ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৪টি চার এবং ২টি ছয় মারলেন বাংলার ক্রিকেটার। মুম্বইয়ের সফলতম বোলার ম্যাথিউজ ১১ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন।