দলে নেই রোহিত। —ফাইল চিত্র
বিদেশের মাটিতে টেস্ট হলেই অনিশ্চিত রোহিত শর্মা। গত আড়াই বছরে বিদেশের মাটিতে ভারত ১৪টি টেস্ট খেলেছে। এর মধ্যে সাতটি টেস্টে খেলতে পারেননি রোহিত। অধিনায়ক হওয়ার পর শুক্রবার ইংল্যান্ডে প্রথম বার টেস্ট খেলার কথা ছিল রোহিতের। কিন্তু করোনার জন্য ফের ‘দলছুট’ তিনি।
২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্টে প্রথম বার ওপেনার হিসাবে নামেন রোহিত। সেখান থেকেই রোহিতের টেস্ট কেরিয়ারের মোড় ঘুরে যায়। সাদা বলের ক্রিকেটে সেই সময়ের সহ-অধিনায়ক লাল বলের ক্রিকেটেও নিয়মিত হয়ে ওঠেন। ঘরের মাঠে রোহিতের লাল বলে একের পর এক ইনিংস প্রশংসিত হয়। কিন্তু ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ডে খেলতে যাওয়ার আগে কাফ মাসলে চোট পান রোহিত।
কিউইদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে পাওয়া গেল না হিটম্যানকে। ০-২ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যায় ভারত। বিদেশে ভারতের পরের টেস্ট সিরিজ ছিল অস্ট্রেলিয়া। চার টেস্টের সেই ঐতিহাসিক সিরিজে চোটের কারণে প্রথম দুই টেস্টে পাওয়া যায়নি রোহিতকে। প্রথম ম্যাচে হেরে যায় ভারত। দ্বিতীয় টেস্টে অজিঙ্ক রহাণের শতরানে ভর করে জেতে তারা। শেষ দু’টি টেস্টে দলে ফেরেন রোহিত। সেই দুই টেস্টে চার ইনিংসে রোহিতের রান যথাক্রমে ২৬, ৫২, ৪৪ এবং ৭। খুব বড় ভূমিকা না নিলেও তাঁর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে থাকায় অধিনায়ক রহাণের যে সুবিধা হয়েছিল তা বলাই যায়।
ইংল্যান্ডে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও খেলেছিলেন রোহিত। সেই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি করেন ৬৪ রান। নেই কোনও অর্ধশতরান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে চারটি ম্যাচেই খেলেছিলেন রোহিত। সেই সিরিজে একটি শতরান এবং দু’টি অর্ধশতরান ছিল তাঁর ব্যাটে। চার ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৩৬৮ রান। এক বছর আগে ইংল্যান্ড দেখেছিল রোহিতের দাপট।
এ বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে ফের চোট পান রোহিত। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে সেই সিরিজে খেলতে পারেননি তিনি। ভারত সেই সিরিজ হেরে যায়। লাল বলে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন বিরাট কোহলী। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজে রোহিত খেললেন। অধিনায়ক হিসাবে লাল বলে তাঁর সফর শুরু সেই সিরিজ থেকেই। কিন্তু ইংল্যান্ডের মাঠে শুক্রবার থেকে হতে চলা টেস্টের আগে ফের ধাক্কা। করোনার জন্য ছিটকে গেলেন রোহিত। বিপদ দেখছে ভারত। কারণ এই আড়াই বছরে বিদেশের মাটিতে রোহিত না থাকলেই সিরিজ হেরেছে তারা। শুক্রবারের টেস্টে রোহিত না থাকায় তাই ফের চিন্তা সমর্থকদের মনে।