নেতা বুমরাই। ছবি টুইটার
জল্পনার অবসান। এজবাস্টন টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন রোহিত শর্মা। তাঁর জায়গায় ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন যশপ্রীত বুমরা। বৃহস্পতিবার টুইট করে সরকারি ভাবে বিসিসিআই এই কথা জানিয়ে দিয়েছে। ঋষভ পন্থকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে। প্রথম বার দেশকে নেতৃত্ব দেবেন বুমরা। এর আগে কোনও প্রথম শ্রেণির ম্যাচকে দেশকে নেতৃত্ব দেননি বুমরা। ভারতের টেস্ট দলের ৩৬তম অধিনায়ক হতে চলেছেন তিনি। কপিল দেবের পর প্রথম বার কোনও জোরে বোলার ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন।
রোহিত যে খেলতে পারবেন না, এটা জানা গিয়েছিল বুধবার দুপুরেই। দ্বিতীয় বার কোভিড পরীক্ষাতেও তাঁর ফল পজিটিভ এসেছিল। তবু রাতের দিকে সাংবাদিক বৈঠকে দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানিয়েছিলেন, তাঁরা অপেক্ষা করতে চান। শেষ পর্যন্ত দেখতে চান রোহিতের শারীরিক অবস্থা। তবে এ দিন দুপুরেই বুমরার নাম ঘোষণা করে দেওয়ায় অনেকেরই ধারণা, রোহিত ফিট হতে পারেননি এখনও।
বুধবার রাতে দ্রাবিড় বলেছিলেন, “রোহিত ছিটকে গিয়েছে এটা এখনই বলা যাবে না। দলের চিকিৎসকরা ওকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। অবশ্যই ওর রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া জরুরি। আমাদের হাতে এখনও প্রায় ৩৬ ঘণ্টা সময় রয়েছে। বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার সকালে রোহিতের পরীক্ষা হবে। আমরা রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা জানাবেন, রোহিত খেলতে পারবে কি না।’’ তবে দেখা যাচ্ছে, দ্রাবিড়ের অপেক্ষা সত্যি হল না। রোহিত ছিটকেই গেলেন টেস্ট থেকে।
১৯৩২ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু করে ভারত। তার পর থেকে ৩৫ জন অধিনায়ক হয়েছেন। ৩৬তম অধিনায়ক হতে চলেছেন বুমরা। নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, বুমরাকে ভবিষ্যতের নেতা হিসাবে তৈরি করার কাজ চলছে। ভারত কেন, পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের কোনও দেশেই জোরে বোলারকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় না। এখনকার সময়ে এক মাত্র অস্ট্রেলিয়া দলে এক জন জোরে বোলার (প্যাট কামিন্স) অধিনায়ক হিসাবে রয়েছেন। পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইমরান খানের মতো কিংবদন্তি। পরে ওয়াসিম আক্রম এবং ওয়াকার ইউনিসরাও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
গত বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বুমরা। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলে তিনি রাজি। বুমরা বলেছিলেন, “সুযোগ পেলে আমি সম্মানিত বোধ করব। মনে হয় না কেউই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে। এর থেকে বড় অনুভূতি আর হয় না। তবে নেতৃত্বের পিছনে দৌড়তে চাই না। সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে চাই। সেই সুযোগ এলে দু’হাত বাড়িয়ে গ্রহণ করব।” ঘটনাচক্রে, বুমরার সামনে সেই সুযোগ খুব তাড়াতাড়ি চলে এল।