রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
পার্থ টেস্টে ভারতকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন যশপ্রীত বুমরা। তবে অ্যাডিলেড টেস্টে একার হাতে দলকে জেতাতে পারেননি। বুমরার অভাব মেটাতে পারেননি বাকি বোলারেরাও। বুমরার উপর অতিরিক্ত নির্ভর করেই কি ডুবল ভারত? হারের পর সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন রোহিত শর্মা। পাশাপাশি, কেন অনুশীলনে সমর্থকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না তারও উত্তর দিয়েছেন।
ম্যাচের প্রথম দিনে বুমরাকে দিয়ে ১১ ওভার বল করালেও দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে মাত্র চার ওভার বল করান। তা নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। রোহিত বললেন, “বুমরার মতো পেসার সবাই দলে চায়। তাই বলে ও একাই বার বার আমাদের জেতাবে সেটা হতে পারে না। বুমরার সঙ্গে সিরাজ দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে প্রথম ইনিংসে চারটে উইকেট পেয়েছে। এটাই আমরা চাই। সব সময় বুমরা উইকেট পাবে না। বাকিদেরও এগিয়ে আসতে হবে।”
নাম না করে রোহিত দোষ দিয়েছেন হর্ষিত রানা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের। রানা প্রথম ইনিংসে ১৬ ওভারে ৮৬ রান দিলেও উইকেট পাননি। অশ্বিন একটি উইকেট পেয়েছেন ৫৩ রান দিয়ে।
রোহিতের সংযোজন, “ব্যাটারদের জন্যও আমরা একই কথা বলে থাকি। বার বার একই ব্যাটার রান করতে পারবে না। বাকিদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। টেস্ট বা সিরিজ় জিততে গেলে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।”
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা দাবি তুলছেন রানাকে বসিয়ে পরের টেস্টে আকাশ দীপকে খেলানোর। রোহিত তাতে রাজি নন। বলেছেন, “একটা ম্যাচের ভিত্তিতে হর্ষিতের পারফরম্যান্স বিচার করা উচিত নয়। আমার মনে হয় না ও কোনও ভুল করেছে। কারণ ছাড়াই ওকে বসিয়ে দেওয়া উচিত হবে না। ট্রেভিস হেডের মতো ক্রিকেটারকে চাপে ফেলেছে ও।”
অ্যাডিলেডে পর পর দু’টি দিন-রাতের টেস্ট হারল ভারত। তবে রোহিত মনে করেন না এতে কোনও মানসিক ক্ষত তৈরি হয়েছে। তিনি সাফ বলেছেন, “আমরা একটা ম্যাচ হেরেছি। এটাই আসল। ভাল খেলতে পারিনি। পরের টেস্টের আগে যে কম সময় রয়েছে সেটা কাজে লাগানোই আমাদের লক্ষ্য।”
অ্যাডিলেড টেস্ট শুরু হওয়ার আগে দলের অনুশীলন সমর্থকদের জন্য খোলা রেখে বিপদে পড়েছিল ভারত। সমর্থকদের চিৎকার এবং উল্লাসে অনুশীলন ব্যাহত হয়। পরে ঠিক হয় আর সমর্থকদের অনুশীলনে দেখতে দেওয়া হবে না। রোহিত বলেছেন, “অনুশীলনের সময় আমরা নিজেদের মধ্যে অনেক কথা বলি। যে হেতু নেটের খুব কাছে থাকেন সমর্থকেরা, তাই ওদের জন্য কথাবার্তা বলতে অসুবিধা হয়। টেস্ট ম্যাচ তো পাঁচ দিনের। ওরা মাঠে এসে আমাদের দেখতে পারেন।”