ঋষভ পন্থ। —ফাইল চিত্র।
২০২২ সালের ডিসেম্বর। একটা গাড়ি দুর্ঘটনায় বদলে গিয়েছিল ঋষভ পন্থের জীবন। আর কোনও দিন খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তাঁর পা কেটে বাদ দিতে হত বলেও জানিয়েছেন পন্থ। একটি সিদ্ধান্তের ফলেই পা বাদ যায়নি।
মাকে অবাক করে দিতে নতুন বছরের আগের দিন বাড়ি ফিরছিলেন পন্থ। মাঝরাস্তায় গাড়ি দুর্ঘটনা হয় তাঁর। পন্থ বলেন, “দুর্ঘটনার পর আমার ডান পা উল্টো দিকে ঘুরে গিয়েছিল ৯০ ডিগ্রি কোণ করে। আমার মনে হয়েছিল এটা ঘোরানো প্রয়োজন। এক জনকে আমি ওই দুর্ঘটনাস্থলেই বলেছিলাম আমার পা ধরতে। আমি সঙ্গে সঙ্গে পা আবার ঘুরিয়ে নিয়েছিলাম। আমাকে চিকিৎসক বলেছিলেন, আমি যদি ওটা না করতাম তা হলে হয়তো পা কেটে বাদ দিতে হত।”
পন্থ জানিয়েছেন, তাঁকে চিকিৎসক বলেছিলেন তিনটি অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটিয়েছেন ভারতের উইকেটরক্ষক। প্রথমটি অবশ্যই পন্থের জীবিত থাকা। ওই রকম দুর্ঘটনার পর পন্থের বেঁচে থাকাটাই অবাক কাণ্ড ছিল। গাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ার আগের মুহূর্তে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়টি, তাঁর পা ঘুরিয়ে নেওয়া। এর ফলেই পা বাদ দিতে হয়নি। তৃতীয়টি, তাঁর লিগামেন্টে কোনও অস্ত্রোপচার দরকার হয়নি। নিজে নিজেই ওই পেশিগুলি ঠিক হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসক।
ক্রাচ ছাড়া চলতে পারতেন না পন্থ। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে এক বছর রিহ্যাব করেছিলেন তিনি। তার পর দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলতে নামেন আইপিএলে। সেখানে এতটাই ভাল খেলেন যে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেন পন্থ।