অলি রবিনসন। ছবি: রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ওপেনার ম্যাথু হেডেন জানিয়ে দিলেন, অলি রবিনসন এমন এক জন ক্রিকেটার যাঁকে ক্রিকেটবিশ্ব কখনও মনে রাখবে না। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় উইকেটকিপার ইয়ান হিলি মনে করেন, রবিনসনের বলের বিরুদ্ধে শট খেলা কোনও সমস্যা নয়।
ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ় সিরিজ়ের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জেতার পর থেকেই শুরু হয়ে গেল বাগ্যুদ্ধ। ইংল্যান্ডের ‘বাজ়বল’ ক্রিকেট নিয়ে যেমন সমালোচনা চলছে, ঠিক তেমনই রবিনসনদের আচরণে ক্ষুব্ধ অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।
এজবাস্টন টেস্টে উসমান খোয়াজাকে প্রথম ইনিংসে রবিনসন আউট করার পরে হুঙ্কার দিয়েছিলেন। ড্রেসিংরুমের দিয়ে চলে যাওয়ার ইঙ্গিতও করা হয় খোয়াজাকে। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে প্যাট কামিন্স ও নেথান লায়ন ব্যাট করার সময় কোনও রকম চাপ তৈরি করতে পারেননি রবিনসন। যা নিয়ে হেডেন বলেছেন, ‘‘ওকে কেউ মনে রাখবে না। জো রুটের বলে প্যাট কামিন্স দু’টি ছয় মারার পরেই চাপে পড়ে গিয়েছিল। ওদের আউট করার উপায় খুঁজে পাচ্ছিল না ও। কী রকম পেসার ও? বল করে ১২৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।’’
প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় উইকেটকিপার হিলি বলেছেন, ‘‘কে অলি রবিনসন? ওর মতো বোলারকে বলে বলে আক্রমণ করা যায়। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে বল করে এত আত্মবিশ্বাস আসে কোথা থেকে?’’
খোয়াজাকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখানোর পর থেকেই রবিনসনের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য আসতে শুরু করে। যা নিয়ে রবিনসন নিজে বলেছেন, ‘‘ম্যাচের মধ্যে কোনও পেসার যখন উইকেট না পায়, তখন তাকে হতাশা গ্রাস করে। গ্লেন ম্যাকগ্রা, ব্রেট লি, জিমি অ্যান্ডরসন, সবাইকে দেখেছি মেজাজ হারাতে। রিকি পন্টিংও মেজাজ হারায়।’’
রবিনসনের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ পন্টিংও। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘ও নিজের বক্তব্যে আমার নাম নিয়েছে দেখে অবাকই হয়েছি। ও কোনও দিনও অ্যাশেজ় খেলেনি। কী ভাবে অ্যাশেজ় খেলি, সেটা রবিনসন দ্রুত শিখতে না পারলে বিপদে পড়বে। এত অযৌক্তিক কথা কী করে বলছে, ভেবেই অবাক হচ্ছি। ওর মধ্যে এত আত্মবিশ্বাসের কারণ কী?’’