রবীন্দ্র জাডেজা, চেতেশ্বর পুজারা-সহ সৌরাষ্ট্র দল। ছবি: পিটিআই।
রঞ্জি ট্রফিতে রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, যশস্বী জয়সওয়ালদের ব্যর্থতার দিনে মান বাঁচালেন শুধু রবীন্দ্র জাডেজা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া রঞ্জিতে সিনিয়র ক্রিকেটারেরা খেলছেন। তাঁদের কেউই তেমন ভাবে সফল হতে পারেননি। ব্যতিক্রম জাডেজা। অন্য দিকে, বল হাতে সফল বাংলা।
পঞ্জাবের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন শুভমন। তিনি ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। অধিনায়ক ব্যর্থ হতেই ভেঙে পড়ে দল। ৫৫ রানে শেষ হয়ে যায় পঞ্জাবের প্রথম ইনিংস। কর্নাটকের হয়ে ৪ উইকেট নেন বাসুকি কৌশিক। তিনটি উইকেট অভিলাষ শেট্টি। দু’টি উইকেট প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের। একটি উইকেট নেন যশবর্ধন পরান্তপ। দিনের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান তোলে কর্নাটক। তারা ১৪৪ রানে এগিয়ে।
দিল্লির হয়ে খেলতে নেমেছিলেন ঋষভ পন্থ। তিনি ১০ বল খেলে মাত্র ১ রান করেন। তবে অধিনায়ক আয়ুষ বাদোনি ৭৮ বলে ৬০ রান করেন। যশ ঢুল ৭৬ বলে ৪৪ রান করেন। সেই ম্যাচেই সৌরাষ্ট্রের হয়ে ৫ উইকেট নেন জাডেজা। তাঁর দাপটেই দিল্লি ১৮৮ রানে শেষ হয়ে যায়।
ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান তুলেছে সৌরাষ্ট্র। চেতেশ্বর পুজারা মাত্র ৬ রান করে আউট হয়ে যান। হার্ভিক দেশাই করেন ৯৩ রান। ব্যাট হাতে ৩৬ বলে ৩৮ রান করেন জাডেজা। দিল্লিকে টপকাতে আর ২৫ রান প্রয়োজন সৌরাষ্ট্রের।
বাংলার পেসারেরা প্রথম দিনেই দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দিলেন। আকাশ দীপ চোটের কারণে নেই। মহম্মদ শামি জাতীয় দলে। এমন অবস্থায় দায়িত্ব ছিল মুকেশ কুমার, সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল এবং মহম্মদ কইফের উপর। তাঁরা হতাশ করেননি। সূরজ একাই ৬ উইকেট তুলে নেন। মুকেশ এবং কইফ দু’টি করে উইকেট নেন।
বাংলা এই ম্যাচে পাচ্ছে না অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের দু’জনেরই চোট। সেই জায়গায় বৃহস্পতিবার ওপেন করতে নামেন তরুণ অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় এবং ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। মাত্র এক রান করে আউট হয়ে যান ঋত্বিক। অঙ্কিত অপরাজিত ৫ রানে। রোহিত কুমার তাঁর সঙ্গে অপরাজিত রয়েছেন। এক উইকেট হারিয়ে ১০ রান তুলেছে বাংলা।