রঞ্জি ট্রফিতে রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ব্যর্থ মুম্বইয়ের ব্যাটিং। রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে নেমে এমন হেনস্থার শিকার হবেন, তা বোধ হয় ভাবতে পারেননি রোহিত শর্মারা। তাঁদের বিপাকে ফেলার মূল কাণ্ডারি অবশ্যই উমর নাজির মির। কাশ্মীরের এই পেসারই বৃহস্পতিবার রোহিতকে আউট করেন। কিন্তু কোনও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি। কেন?
ভারত অধিনায়ক রোহিত টেস্টে রান পাচ্ছিলেন না। রঞ্জি ট্রফি খেলতে নেমেছিলেন হারানো ফর্ম ফিরে পেতে। কিন্তু সেখানেও রান পেলেন না। উমরের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন সাজঘরে। কিন্তু ভারত অধিনায়কের উইকেট নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি উমর। তিনি বলেন, “ভাল বল যে কোনও ব্যাটারের বিরুদ্ধেই ভাল বল। কে ব্যাট করছে সেটা বড় ব্যাপার নয়। তবে রোহিতের উইকেট সত্যিই বড় ঘটনা। আমি খুশি। আমি রোহিতের ভক্ত। তাই ওর উইকেট নিয়ে কোনও উচ্ছ্বাস করিনি। ওর উইকেট নিলেও এটা মাথায় ছিল যে আমি রোহিতের ভক্ত।”
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে উমর মির। ছবি: পিটিআই।
কাশ্মীরের পেসার বলতে প্রথমেই উমরান মালিকের নাম মাথায় আসে। কিন্তু তিনি এই ম্যাচ খেলছেন না। চোটের কারণে বাদ রাসিখ সালামও। তাতেও রোহিতেরা ১২০ রানের বেশি করতে পারলেন না। নেপথ্যে ৩১ বছর বয়সি পেসার উমর। তিনি একাই নিলেন ৪ উইকেট। রোহিত (৩), হার্দিক তামোরে (৭), অজিঙ্ক রাহানে (১২) এবং শিবম দুবের (০) উইকেট তুলে নেন উমর। ১৪.৫ ওভারের মধ্যে ৪১ রানে ৫ উইকেট হারায় মুম্বই। তার মধ্যে উমর একাই নেন ৪ উইকেট।
এ বারের রঞ্জিতে ১৫টি উইকেট নিয়েছেন উমর। ২০১৩ সালে রঞ্জি অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ৫৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৩৮টি উইকেট নিয়েছেন উমর। ছ’বার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু কখনও ভারত অধিনায়কের বিরুদ্ধে খেলেননি। উমর বলেন, “এই ম্যাচ যদি আমরা জিততে পারি, সেটা বিরাট ব্যাপার হবে। কারণ উল্টো দিকে ভারত অধিনায়ক খেলছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা কোনও ব্যাটারকে আউট করলে তা সব সময়ই বড় ব্যাপার। পিচ থেকে সাহায্য পেয়েছি। ঠিক জায়গায় বল করছিলাম। রোহিত বড় নাম। ওঁর উইকেট নেওয়াটা আমার জন্য এবং দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
মুম্বইয়ের হয়ে বৃহস্পতিবার খেলতে নেমেছেন যশস্বী জয়সওয়াল, রোহিত, রাহানে, শ্রেয়স আয়ার, শিবম দুবে, শার্দূল ঠাকুরের মতো ক্রিকেটার। তাঁরা সকলেই কখনও না কখনও দেশের হয়ে খেলেছেন। এমন সব ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ঘুম হয়েছিল? উমর বলেন, “বুধবার রাত ১০টায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ঘুম ভাঙে। আমি খুব শান্ত ছিলাম।”
ম্যাচে মুম্বই ১২০ রানে শেষ হয়ে যায়। শার্দূল ৫১ রান না করলে আরও কমে শেষ হয়ে যেত তারা। ব্যাট করতে নেমে জম্মু-কাশ্মীর ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করেছে। ৫৪ রানে লিড নিয়েছে তারা। মুম্বইয়ের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন মোহিত অবস্থি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শার্দূল এবং শিবম।