ঝাড়খন্ড ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি পিটিআই
প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার সুবাদে নাগাল্যান্ডকে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল ঝাড়খণ্ড। কিন্তু রেকর্ডের কমতি হল না দ্বিতীয় ইনিংসেও। ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাল ঝাড়খণ্ড। দু’ইনিংসের পর ১০০৮ রানের লিড নিল তারা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যা সর্বোচ্চ রানের লিড। দু’দল মিলিয়ে মোট রানের বিচারেও তা সবার উপরে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে হয়েছে এই ম্যাচ।
প্রথম ইনিংসে ৮৮০ রান তুলেছিল ঝাড়খণ্ড। ১৭ বছর বয়সি কুমার কুশাগ্র ২৬৬ রান করেন। এ ছাড়াও শতরান করেন বিরাট সিংহ এবং শাহবাজ নাদিম। জবাবে নাগাল্যান্ডকে ২৮৯ রানে অলআউট করে দেয় তারা। ফলে প্রথম ইনিংসে ৫৯১ রানের লিড নেয় ঝাড়খণ্ড। কিন্তু তার পরেও নাগাল্যান্ডকে ফলো-অন করায়নি ঝাড়খণ্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪১৭ রান তোলে তারা। শতরান করেন অনুকূল রায়। কুশাগ্র ৮৯ রান করেন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ঝাড়খণ্ড এবং নাগাল্যান্ড মিলিয়ে মোট তিনটি ইনিংসে এই ম্যাচে ১৫৮৬ রান উঠেছে। এটিই সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসেই। বিহার বনাম সিকিমের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে উঠেছিল ১৩৬৭ রান। এ ছাড়া, দু’ইনিংস মিলিয়ে ঝাড়খণ্ড তুলেছে ১২৯৭ রান, যা কোনও দলের এক ম্যাচে রানের বিচারে তৃতীয় সর্বোচ্চ। ১৯৪৮-৪৯ মরসুমে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তৎকালীন বম্বে ১৩৬৫ তুলেছিল। সেটিই সবার উপরে। এর পরের নজিরও বম্বেরই। ১৯৯০-৯১ মরসুমে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তারা ১৩০১ রান তুলেছিল।
তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এত লিড এর আগে কোনও দল নিতে পারেনি। সে দিক থেকে ইডেনের পিচে রঞ্জিতে তৈরি হল নতুন ইতিহাস। রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে আটটি দলও ঠিক হয়ে গেল। মধ্যপ্রদেশ, বাংলা, কর্ণাটক, মুম্বই, উত্তরাখন্ড, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ড শেষ আটে গিয়েছে।
(ভ্রম সংশোধন: এই সংবাদটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল ঝাড়খণ্ড প্রথম ইনিংসে ১০০৮ রানের লিড নিয়েছে। তথ্যটি ভুল। ঝাড়খণ্ড দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০০৮ রানের লিড নিয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত।)