শতরান করলেন শাহবাজ —ফাইল চিত্র
তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন মাত্র ৫৪ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছে বাংলার। তখনও মধ্যপ্রদেশের থেকে ২৮৭ রানে পিছিয়ে বাংলা। দেখে মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় দিনেই খেলার ফল স্পষ্ট হয়ে যাবে। সেখান থেকে মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে জুটি বাঁধলেন শাহবাজ আহমেদ। দু’জনে মিলে দলকে খাদ থেকে টেনে তুললেন। ম্যাচের তৃতীয় দিন মনোজের শতরানের পরে তিন অঙ্কে পৌঁছলেন শাহবাজও। রঞ্জিতে প্রথম শতরান করলেন শাহবাজ। তিনি যখন আউট হয়ে ফিরলেন তখন বাংলা পিছিয়ে ৭১ রানে।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল শাহবাজের। মধ্যপ্রদেশের দুই স্পিনার কুমার কার্তিকেয় ও সারাংশ জৈনের বল ঘুরছিল। শাহবাজের অফ স্টাম্পের কাছে তৈরি হওয়া রাফে বল পড়ে মাঝেমধ্যে লাফিয়ে উঠছিল। কিন্তু হাল ছাড়েননি শাহবাজ। উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেননি। ধৈর্য ধরে এক রান, দু’রান নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। হাত জমে যাওয়ার পরে রানের গতি কিছুটা বাড়ান তিনি। অর্ধশতরান করেন বাংলার বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
তৃতীয় দিনও বেশ সাবলীল ব্যাটিং শুরু করেন শাহবাজ। মনোজ শতরান করে আউট হয়ে গেলেও টিকে ছিলেন শাহবাজ। রঞ্জিতে নিজের প্রথম শতরান করেন তিনি। শাহবাজ এক দিকে টিকে থাকলেও অন্য দিকে উইকেট পড়ছিল। আট উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ১১৬ রানের মাথায় পুনীত দাতের বলে আউট হয়ে যান শাহবাজ। ২০৮ বল ভাল খেলেও যে ভাবে বাইরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে শাহবাজ ফিরলেন তাতে নিজের শট নির্বাচনে খুব একটা খুশি হবেন না তিনি।
শাহবাজ আউট হওয়ার পরে ২৭৩ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার প্রথম ইনিংস। মধ্যপ্রদেশের থেকে ৬৮ রানে পিছিয়ে তারা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।