মনোজের শতরান। —ফাইল চিত্র
কোয়ার্টার ফাইনালে শতরান করেছিলেন। এ বার রঞ্জির সেমিফাইনালেও শতরান করলেন মনোজ তিওয়ারি। হাঁটুর চোটের জন্য তিনি সেমিফাইনালে খেলতে পারবেন কি না সেই নিয়েও সংশয় ছিল। মনোজ বুঝিয়ে দিলেন এই সব চোট তিনি তাঁর ১৮ বছরের কেরিয়ারে অনেক সামলেছেন। বৃহস্পতিবারও সামলালেন। ১০২ রান করলেন মনোজ। সুইপ মারতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। কিছুটা চাপে বাংলা।
সেমিফাইনালে প্রথম দিনের শেষে ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মনোজ। দিনের শেষে বলছিলেন পায়ে এখনও ব্যথা রয়েছে। পায়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে সেই ব্যথা নিয়ে খেলতে নেমে শতরান করলেন। বাংলার প্রাক্তন অধিনায়কের কাছে সেই শতরান নিজের জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাংলার জন্য। মনোজ নিজেও সেটা জানেন। তাই শতরানের পর স্ত্রী সুস্মিতা এবং পুত্র ইউভানের জন্য মাঠ থেকে বার্তা দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও ১০২ রানে আউট হয়ে মাঠ থেকে বেরোতেই চাইছিলেন না মনোজ। তিনি জানেন অনেকটা কাজ বাকি রয়ে গেল।
রঞ্জিতে ২৯তম শতরান মনোজের। রঞ্জির ইতিহাসে তিনি বাংলার সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। গোটা দেশের মধ্যে রয়েছেন দশ নম্বরে। এত বছর বাংলার হয়ে খেলার পরেও এই দলের জার্সি, টুপি এখনও খিদে বাড়ায় মনোজের। সেই খিদে নিয়েই মনোজ রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বাংলার জার্সি গায়ে। রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পরেও।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।