—ফাইল চিত্র
আলুরের পিচ দেখে ভেঙে ফেলা হয়েছে জয়ী দল। ঈশান পোড়েলকে বাইরে রেখে নামানো হয়েছে স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিককে। তাতে শুরুতে সাফল্য পেলেও মাঝের সেশনে হিমাংশু মন্ত্রী এবং অক্ষত রঘুবংশীর ব্যাটে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলা। শেষ বেলায় উইকেট নিয়ে ফের ম্যাচে ফিরেও আসেন আকাশ দীপরা।
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যপ্রদেশ। ছন্দে থাকা যশ যাদবকে শুরুতেই ফিরিয়ে দেন মুকেশ কুমার। বল করতে এসে প্রথম বলেই উইকেট নেন প্রদীপ্ত। তিনি ফিরিয়ে দেন শুভম শর্মাকে। আইপিএলের প্লে-অফে ইডেনে শতরান করা রজত পাটীদারকে ফেরান মুকেশ। শাহবাজ আহমেদের বলে মাত্র ১০ রান করেই আউট হয়ে যান মধ্যপ্রদেশের অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তব। ৯৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে তখন বেশ বেকায়দায় চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের মধ্যপ্রদেশ। সেই সময় ব্যাট হাতে ক্রিজে এলেন অক্ষত।
১৮ বছরের অক্ষত নেমেই আক্রমণ করতে শুরু করেন শাহবাজ এবং প্রদীপ্তকে। তাঁর আক্রমণের দাপটে অভিমন্যু ঈশ্বরন বাধ্য হন স্পিনারদের সরিয়ে দুই পেসারকে আনতে। বল করেন মনোজ তিওয়ারিও। বাংলার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বল হাতে চার ওভার করলেও উইকেট পাননি। বাংলার মুকেশ সারা দিনে ২১ ওভার বল করেন, আকাশ করেন ২০ ওভার। ৮১ বলে খেলে ৬৩ রান করেন অক্ষত। তাঁর হঠাৎ আক্রমণে বাংলার বোলাররা কিছুটা বেকায়দায় পড়ে যায়। অক্ষত আটটি চার এবং দু’টি ছয় মারেন। আকাশের ইনসুইংয়েই শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরেন অক্ষত।
অক্ষতর আক্রমণে সহজ হয়ে যায় মন্ত্রীর ব্যাটিং। দিনের শেষে ১৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ১৫টি চার এবং একটি ছয় মেরেছেন মন্ত্রী। শেষ বেলায় অক্ষতকে ফেরানোর পর আকাশ ফিরিয়ে দেন সারাংশ জৈনকেও। বাঁহাতি সারাংশের অফস্টাম্পের বেল উড়িয়ে দেন আকাশ।
প্রথম দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশ ২৭১ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই তাদের বাকি চার উইকেট তুলে নিতে চাইবে বাংলা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।