টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল উত্তরাখণ্ড। সেই রাজ্যের ছেলে অভিমন্যু। ছবি: আনন্দবাজারের আর্কাইভ থেকে
রঞ্জি ট্রফিতে নিজের নামাঙ্কিত মাঠে খেলতে নেমেছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। সেই মাঠে শতরান করলেন বাংলার ওপেনার। দিনের শেষে অপরাজিত রইলেন ১৪১ রানে। উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলা প্রথম দিনেই তুলে নিল ৩ উইকেটে ২৬৯ রান। অভিমন্যু ছাড়াও রান করলেন সুদীপ ঘরামি। তিনি ৯০ রান করে আউট হন।
টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল উত্তরাখণ্ড। সেই রাজ্যের ছেলে অভিমন্যু। যদিও তিনি খেলেন বাংলার হয়ে। এ দিন যে মাঠে খেলতে নেমেছিলেন, সেই ‘অভিমন্যু ক্রিকেট অ্যাকাডেমি’টি তাঁর বাবার তৈরি। সেই মাঠে খেলেই বড় হয়েছেন অভিমন্যু। এ বার সেই মাঠে রঞ্জি খেলতে নেমে শতরান। বাংলার ক্রিকেটারের কাছে এই দিনটা একটু আলাদা হয়ে রইল। এ দিন অভিমন্যুর সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন সায়ন শেখর মণ্ডল। বাংলার এই অলরাউন্ডার আগেও ওপেনার হিসাবে খেলেছেন। মঙ্গলবার যদিও তিনি খুব বেশি রান পাননি। মাত্র ১৮ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। ৮৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলা। সেখান থেকে বড় রানের জুটি গড়েন অভিমন্যু এবং সুদীপ।
দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ১৭০ রান করেন অভিমন্যু এবং সুদীপ। দু’জনেই শতরান পেতে পারতেন। কিন্তু ৯০ রানের মাথায় আউট হন সুদীপ। ১৮০ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১১টি চার এবং একটি ছক্কা হাঁকান সুদীপ। তিনি ফিরলেও ক্রিজ থেকে সরানো যায়নি অভিমন্যুকে। দিনের শেষেও অপরাজিত তিনি। ১৪১ রান করেছেন বাংলার ওপেনার। তিনি এবং অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার দিনের শেষ পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পারলেন না অনুষ্টুপ। ৩ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। অনুষ্টুপ ফিরতেই দিনের খেলা শেষ করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দিনে মনোজ তিওয়ারিরা চাইবেন বড় রান তুলে উত্তরাখণ্ডকে চাপে ফেলে দিতে।