টানা পাঁচটি শতরান অভিমন্যুর। পঞ্চম শতরানটি এল তাঁর নিজের মাঠে। —ফাইল চিত্র
তাঁর নামেই মাঠ। সেই মাঠেই শতরান। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না কেউই। অভিমন্যু ঈশ্বরন। বাংলার ওপেনার রঞ্জিতে আরও একটি শতরান করলেন। টানা পাঁচটি ম্যাচে শতরান করে ফেললেন অভিমন্যু। পঞ্চম শতরানটি এল অভিমন্যুর নিজের মাঠে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে। দেহরাদূনের মাঠটি অভিমন্যুর নামেই— ‘অভিমন্যু ক্রিকেট অ্যাকাডেমি’।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে টানা চারটি শতরান করে ফেললেন অভিমন্যু। লিস্ট এ ধরলে টানা পাঁচটি। বিজয় হজারে ট্রফির শেষ ম্যাচে শতরান করেছিলেন অভিমন্যু। রাঁচীতে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে সেই শতরান দিয়ে শুরু। এর পর বাংলাদেশে গিয়ে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে পর পর দু’টি ম্যাচে শতরান করেন তিনি। এর পর দেশে ফিরে বাংলার হয়ে রঞ্জি দলে যোগ দেন। নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৭০ রানের ইনিংস খেলেন অভিমন্যু। এ বার নিজের মাঠে দেহরাদূনেও শতরান।
২০০৫ সালে অভিমন্যুর বাবা রঙ্গনাথন ঈশ্বরন দেহরাদূনে বিরাট একটি জায়গা কেনেন। সেখানে ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করেন। ১৯৯৫ সালে জন্ম অভিমন্যুর। মহাভারতে অর্জুনের ছেলের নামের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখা হয় তাঁর। ছেলের নামে ক্রিকেট অ্যাকাডেমির নাম রাখেন রঙ্গনাথন। বাবার মাঠেই রঞ্জি খেলতে নামলেন অভিমন্যু। তাঁর নিজের নামাঙ্কিত মাঠে ব্যাট হাতে নামলেন উত্তরাখণ্ডের ঘরের ছেলে। বাংলার হয়ে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে করলেন শতরান।
দেহরাদূনের এই মাঠে ক্রিকেট খেলা শিখেছেন অভিমন্যু। সেখানে খেলতে নামার আগে জানিয়েছিলেন যে, তিনি দারুণ উত্তেজিত। তবে বাংলাকে ম্যাচটি জেতানোই তাঁর লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মঙ্গলবার শুরু থেকে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। বাংলার হয়ে এ দিন অভিমন্যুর সঙ্গে ওপেন করেন সায়ন শেখর মণ্ডল। আগের ম্যাচে কৌশিক ঘোষ সে ভাবে রান করতে পারেননি। তাই এ দিন সুযোগ দেওয়া হয় অলরাউন্ডার সায়নকে। কিন্তু তিনি মাত্র ১৮ রান করে আউট হয়ে যান।
সায়ন ফিরলেও অভিমন্যুর রানের গতি কমেনি। উল্টো দিকে থাকা সুদীপ ঘরামি সঙ্গ দেন তাঁকে। ৫৫ ওভার শেষে বাংলার স্কোর ২০৪ রানে ১ উইকেট। অভিমন্যু ১১০ রানে অপরাজিত। সুদীপ অপরাজিত ৬০ রানে।