বিশাখাপত্তনমে রিঙ্কু সিংহ। ছবি: পিটিআই।
বিল জমা না দেওয়ায় পাঁচ বছর আগে স্টেডিয়ামের বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার রায়পুরের সেই শহীদ বীর নারায়ণ সিংহ স্টেডিয়ামে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। রায়পুরের মাঠের পরিস্থিতি লজ্জায় ফেলতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। ৩ কোটি ১৬ লক্ষ টাকার বিল জমা দেয়নি ছত্তীসগঢ় ক্রিকেট সংস্থা।
১৪ বছর ধরে বিদ্যুতের বিল জমা করেনি ছত্তীসগঢ় ক্রিকেট সংস্থা। সেই কারণে পাঁচ বছর আগে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়। শুক্রবারের ম্যাচের জন্য ছত্তীসগঢ় ক্রিকেট সংস্থার অনুরোধে সাময়িক বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তাতে আলো জ্বলবে শুধু গ্যালারি এবং বক্সে। মাঠের ফ্লাডলাইট জ্বালানো হবে জেনারেটর দিয়ে। যদিও রায়পুর রুরাল সার্কলের দায়িত্বে থাকা অশোক খন্ডেলওয়াল বলেন, “ছত্তীসগঢ় ক্রিকেট সংস্থা যে সাময়িক বিদ্যুতের আয়োজন করা হয়েছে সেটার পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য আবেদন করেছে।”
এখনও পর্যন্ত ছত্তীসগঢ় ক্রিকেট সংস্থার এই মাঠে একটিই আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে। এই বছর ভারত এবং নিউ জ়িল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিল রায়পুরে। সেই এক দিনের ম্যাচে কিউইদের ১০৮ রানে অল আউট করে দিয়েছিল ভারত।
এখন সাময়িক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থেকে ২০০ কিলো ভোল্ট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। ছত্তীসগঢ় ক্রিকেট সংস্থা সেটাকে ১০০০ কিলো ভোল্ট করার আবেদন করেছে। কিন্তু সেটার কাজ এখনও শুরু হয়নি।
২০১৮ সালে রায়পুরের স্টেডিয়ামে একটি হাফ ম্যারাথন আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় খেলোয়াড়েরা বুঝতে পারেন যে, ওই স্টেডিয়ামে কোনও বিদ্যুৎ নেই। তখনই জানা গিয়েছিল যে, ২০০৯ থেকে বিদ্যুতের বিল জমা দেয়নি ছত্তীসগঢ় ক্রিকেট সংস্থা। জানা গিয়েছে, রায়পুর স্টেডিয়াম তৈরি হওয়ার পর সেটার দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিডব্লিউডি-কে।
ছত্তীসগঢ় ক্রিকেট সংস্থার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক তারুণেশ সিংহ পরিহার বলেন, “আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করার সময় চিন্তা তো থাকেই। কোনও সমস্যা যে হবে না, তা জোর দিয়ে বলতে পারছি না। তবে আমাদের জেনারেটর রয়েছে। কোনও রকম সমস্যা হলে ব্যবহার করা হবে। স্টেডিয়ামের কত টাকার বিদ্যুতের বিল বাকি রয়েছে সেটা আমি জানি না, তবে সাময়িক বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছত্তীসগঢ় ক্রিকেট সংস্থা করেছে।”