বিশ্বকাপ ট্রফির উপর পা রেখে মিচেল মার্শ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বিশ্বকাপ ট্রফির উপর পা রেখে ছবি তোলার পর এত দিন চুপই ছিলেন মিচেল মার্শ। ১১ দিন পর সেই ছবি নিয়ে মুখ খুললেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার। জানালেন যে, তিনি ট্রফিটিকে অসম্মান করতে চাননি।
১৯ নভেম্বর ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের দিন প্যাট কামিন্সের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি চমকে দেয় সকলকে। বিশ্বকাপ ট্রফিটিকে পাদানি হিসাবে ব্যবহার করেছেন মার্শ। সেই ছবি প্রসঙ্গে ১১ দিন পর অসি ক্রিকেটার ‘সেন’ নামক এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বিশ্বকাপ ট্রফিকে অসম্মান করার কোনও বাসনা আমার ছিল না। আমি ভাবিইনি ওই ছবি নিয়ে কিছু। তবে সমাজমাধ্যমে এটা নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে বলে শুনেছি। আমি খুব একটা সমাজমাধ্যম দেখি না। আমাকে অনেকে বলেছে যে, ছবিটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এর বেশি কিছু না।”
মার্শ কিছু না ভাবলেও তাঁর সেই ছবি নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে। যে ট্রফি এক বার হাতে তোলার জন্য সারাটা জীবন অপেক্ষা করে থাকেন খেলোয়াড়েরা, সেই ট্রফির উপর দিব্যি দু’পা তুলে ছবি তুললেন তিনি। আর সেটাও ফলাও করে দেখালেন দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
বিশ্বকাপ জেতার পরে দলের উল্লাসের বেশ কয়েকটি ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেন কামিন্স। সেখানেই একটি ছবিতে দেখা যায়, তুরীয় মেজাজে দু’টি পা ট্রফির উপর তুলে হাসিমুখে বসে রয়েছেন মার্শ। হাতে রয়েছে পানীয়ের বোতল। বাঁ হাত মুষ্টিবদ্ধ। ভাবখানা এমন, কেমন দিলাম!
মার্শের সেই ছবি দেখে নিন্দা করেছিলেন মহম্মদ শামি। ভারতীয় ক্রিকেটার বলেছিলেন, “আমি ছবিটা দেখে খুব কষ্ট পেয়েছি। এই ট্রফির জন্যে গোটা বিশ্বের এত দেশ লড়াই করে। এই ট্রফিকে সবাই মাথার উপর তুলে ধরতে চায়। সেই ট্রফির উপরেই পা রাখার ছবি কখনওই আমাকে খুশি করতে পারে না।”
ভারতকে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। টানা ১০ ম্যাচে জিতে ফাইনালে উঠেছিলেন রোহিত শর্মারা। তার পরেও বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। ভারতীয় সমর্থকদের মনের দুঃখ আরও বাড়িয়ে দেয় মার্শের ছবিটি। অসি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। অভিযোগকারী জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের আবেগকে আঘাত করেছেন মার্শ।
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সমাজকর্মী পণ্ডিত কেশব। আরও এক ধাপ এগিয়ে, তিনি অভিযোগের একটি প্রতিলিপি পাঠিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও। তিনি চাইছেন, মার্শের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। কেশব আরও জানিয়েছিলেন, মার্শ যাতে ভবিষ্যতে কোনও দিন ভারতে খেলতে না পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্বকাপের ট্রফির সঙ্গে এ রকম ব্যবহার কোনও ভাবেই মানা যায় না বলে দাবি তাঁর। মার্শ যদিও বুঝিয়ে দিলেন তিনি এ সব কিছুকে পাত্তাই দিচ্ছেন না।