ঢাকা রয়েছে কানপুরের মাঠ। ছবি: পিটিআই।
কানপুরে শনিবারও বৃষ্টি। খেলা শুরুই করা সম্ভব হল না। মাঠ ঢাকা রইল। চা বিরতির আগেই জানিয়ে দেওয়া হল যে শনিবার খেলা শুরু করা সম্ভব নয়। তার আগেই রোহিত শর্মা, নাজমুল হোসেন শান্তরা হোটেলে ফিরে গিয়েছিলেন।
বৃষ্টির কারণে শুক্রবার মাঠ ভিজে ছিল। তাই এক ঘণ্টা দেরিতে টস হয়। খেলাও শুরু হয় দেরিতে। ৩৫ ওভারের বেশি খেলাও হয়নি। খারাপ আলো এবং বৃষ্টির কারণে সময়ের আগেই দিনের খেলা শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়ারেরা। শনিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি পড়ছে। ভারতীয় দলের ক্রিকেটার এবং কোচেরা সাজঘরে আড্ডা দিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরাও সাজঘরে নিজেদের মতো সময় কাটালেন। অপেক্ষা করলেন বৃষ্টি থামার। কিন্তু সেটা হল না। শেষ পর্যন্ত হোটেলে ফিরে যান তাঁরা।
শনিবার ৮০ শতাংশ বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। জানানো হয়েছিল, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বিকালের দিকে ঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। সারা দিন আকাশ থাকবে মেঘাচ্ছন্ন। রবিবারও কানপুরের আয়োজকেরা নিশ্চিত থাকতে পারবেন না। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সে দিন আকাশ থাকবে আংশিক মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টির সম্ভাবনা ৫৯ শতাংশ। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সে দিন বিকালের পর থেকে উন্নতি হবে আবহাওয়ার। সোমবার এবং মঙ্গলবার, অর্থাৎ ম্যাচের শেষ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা তেমন নেই কানপুরে। শেষ দু’দিন পুরো খেলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কানপুরে যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট ড্র হয়ে যায়, তা হলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত পাবে চার পয়েন্ট। সম্ভাব্য ১৩২ পয়েন্টের মধ্যে (১টি টেস্টে ১২ পয়েন্ট সর্বোচ্চ পাওয়া যায়) ৯০ পয়েন্ট হবে ভারতের। পয়েন্ট শতাংশ হবে ৬৮.১৮। তা হলেও রোহিতেরা অস্ট্রেলিয়ার উপরেই থাকবেন।
অন্য দিকে, শ্রীলঙ্কা-নিউ জ়িল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হলে দু’দলই পাবে ৪ পয়েন্ট করে। ফলাফল হলে জয়ী দল পাবে ১২ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কা জিতলে সম্ভাব্য ১০৮ পয়েন্টের মধ্যে তাদের সংগ্রহ হবে ৬০ পয়েন্ট। পয়েন্ট শতাংশ হবে ৫৫.৫৫। চতুর্থ স্থানে থাকা নিউ জ়িল্যান্ড জিতলে সম্ভাব্য ৯৬ পয়েন্টের মধ্যে ৪৮ পয়েন্ট পাবে। তাদের পয়েন্ট শতাংশ হবে ৫০। গলের টেস্ট ড্র হলে শ্রীলঙ্কা এবং নিউ জ়িল্যান্ডের পয়েন্ট শতাংশ হবে যথাক্রমে ৫৬.১৬ এবং ৪১.৬৬। অর্থাৎ, গলে জিতলেও শ্রীলঙ্কা বা নিউ জ়িল্যান্ড টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে প্রথম দুইয়ে আসতে পারবে না।