পৃথ্বীর বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাল্টা অভিযোগ ধৃত স্বপ্নার। ছবি: টুইটার।
তাঁর বুকে এবং হাতে মেরেছেন ক্রিকেটার পৃথ্বী শ। আদালতে দাঁড়িয়ে পৃথ্বীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই করলেন ধৃত স্বপ্না গিল। পৃথ্বীর বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ করেছেন তিনি। পৃথ্বী টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন ধৃত তরুণী।
বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল পৃথ্বীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলা স্বপ্নাকে। শুক্রবার তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে ধৃত তিনি করেছেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্যি নয়। বরং পৃথ্বীই আমার বুকে এবং হাতে মেরেছেন। আঘাত করার পর আমার কাছে ক্ষমা চান ওই ক্রিকেটার। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের না করার অনুরোধও করেন।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘তাও আমরা পুলিশের কাছে যাই সাহায্যের জন্য। ওঁরা ৮-১০ জন মতো ছিলেন। আর আমরা মাত্র দু’জন ছিলাম।’’
পৃথ্বীকে কি নিজস্বী তোলার জন্য চাপ দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের জবাবে স্বপ্না বলেছেন, ‘‘আমি তাঁকে চিনি না। কখনও কোথাও দেখিনি। এক বারও নিজস্বী তোলার জন্য অনুরোধ করিনি আমি।’’ স্বপ্নার অভিযোগ ভুল বুঝতে পেরে পৃথ্বী টাকা দিয়ে মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ঘটনার বেশ খানিকটা পরে এফআইআর করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ধৃত। তিনি বলেছেন, ‘‘৫০ হাজার টাকা নগদ দিয়ে মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আমাদের। উনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। থানার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। চাইলে তো তখনই এফআইআর করতে পারতেন।’’ বিচারক স্বপ্নাকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ওশিওয়াড়া থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন স্বপ্না এবং তাঁর বন্ধুরা। কিন্তু স্বপ্নার কথাবার্তা অসংলগ্ন থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পৃথ্বীর বন্ধুর অভিযোগ অনুযায়ী, আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। স্বপ্না তাঁদেরই একজন। সংবাদ সংস্থাকে স্বপ্নার আইনজীবী আলি কাসিফ খান জানিয়েছিলেন, “ওই বিলাসবহুল হোটেলে পৃথ্বীর সঙ্গে নিজস্বী তুলতে গিয়েছিল স্বপ্না। অনেক দিন ধরেই ও পৃথ্বীর ভক্ত। কিন্তু পৃথ্বী তখন পার্টি করছিল এবং মত্ত ছিল। ওর হাতে একটা ব্যাট ছিল। সেই ব্যাট দিয়ে ও স্বপ্নাকে আঘাত করে। পরের দিন পুলিশের কাছে গিয়ে স্বপ্নার বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করে।” অর্থাৎ, স্বপ্নার আইনজীবীর বক্তব্যের সঙ্গে আদালতে তাঁর দাবিও মিলছে না।
সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে পৃথ্বী এবং ওই তরুণীর বাদানুবাদ শোনা গিয়েছে। ব্যাটটি ছিল তরুণীর হাতেই। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।