(বাঁদিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: পিটিআই।
ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পোক্ত করতে ব্যাট ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকা সফরে তাঁর মুখে শোনা গেল ক্রিকেটের কথা। এক দিনের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলার জন্য শুভেচ্ছা জানালেন মোদী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে বৃহস্পতিবার নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছিলেন তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেন। নৈশভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন শিল্পপতি মুকেশ অম্বানি, আনন্দ মাহিন্দ্রা, গুগল সিইও সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেলা, অ্যাপল সিইও টিম কুক-সহ ৪০০ অতিথি। তাঁদের সামনে নিজের ভাষণে ক্রিকেটের প্রসঙ্গ তোলেন মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমেরিকার মানুষ বেসবল ভালবাসেন। তবে এখন ক্রিকেটও আমেরিকায় আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হচ্ছে। ভারতে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলার জন্য আমেরিকার দল যথা সম্ভব চেষ্টা করছে। আমি আমেরিকার ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমেরিকার দলের সাফল্য কামনা করছি।’’ উল্লেখ্য, আমেরিকার জাতীয় দলের সাত-আট জন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ক্রিকেটার রয়েছেন।
আমেরিকায় ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করতে উদ্যোগী আইসিসি। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক আমেরিকা। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সিরিজ়ের দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে ফ্লোরিডায়। এ বছর থেকে শুরু হচ্ছে মেজর লিগ ক্রিকেট। ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছেন আইসিসি কর্তারা। মোদীও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করতে হাতিয়ার করলেন ক্রিকেটকে।
ক্রিকেট আমেরিকায় জনপ্রিয় হলে, ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে পারে। সেই পথ ধরে ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বও মজবুত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ক্রিকেট যে নিছক খেলা নয়, কূটনীতিরও অস্ত্র অনেক আগেই বুঝিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। বিশেষ দক্ষিণ এশিয়ায় তো বটেই। পাক জঙ্গিদের মুম্বই হামলার জবাবে একাধিক কড়া পদক্ষেপের পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আবার আমেরিকাকে আরও কাছে টানতেও মোদীর মুখে উঠে এল সেই ক্রিকেটের কথা। উপমহাদেশের ক্রিকেট এখন আর শুধু ২২ গজে সীমাবদ্ধ নেই। কূটনীতিরও অংশ হয়ে উঠেছে।