সঞ্জু স্যামসন। —ফাইল চিত্র।
ধাক্কা সঞ্জু স্যামসনের। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকলেও কোনও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সম্ভবত জায়গাই হবে না কেরলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। জাতীয় নির্বাচকদের পরিকল্পনায় তিনি নেই। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে শাস্তিও পেতে হচ্ছে তাঁকে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের দলে থাকলেও আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সম্ভবত থাকবেন না সঞ্জু। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে প্রথম উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসাবে থাকবেন ঋষভ পন্থ। কোনও কারণে তিনি উইকেট রক্ষা করতে না পারলে দায়িত্ব সামলাবেন লোকেশ রাহুল। আগামী ১৯ জানুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা করতে পারে বিসিসিআই। সেই দলে সঞ্জুর জায়গা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সঞ্জুর নাম বিবেচনা না করার পিছনে রয়েছে আরও একটি কারণ। নিজের গাফিলতির জন্যই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা হবে না সঞ্জুর। কেরলের হয়ে বিজয় হজারে ট্রফি খেলেননি তিনি। নিজেই বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেরলের অধিনায়ক। প্রস্তুতি শিবিরে যোগ না দেওয়ায় সঞ্জুকে বিজয় হজারে ট্রফির দল থেকে বাদ দেন কেরলের নির্বাচকেরাও। যদিও পরে তিনি বিশ্রাম চেয়ে নেন। তাঁর এই বিশৃঙ্খলতা বরদাস্ত করতে রাজি নন বোর্ড কর্তারা। শাস্তি হিসাবেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাঁকে। একই সঙ্গে অন্য ক্রিকেটারদেরও কড়া বার্তা দেওয়া হবে। সঞ্জুকে আপাতত শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্যই ভাবা হচ্ছে।
দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ঢোকার লড়াইয়ে আছেন ধ্রুব জুরেল এবং ঈশান কিশনও। যদিও বোর্ডের নতুন পরিকল্পনায় তাঁদেরও সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। দল গঠনের ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের ফর্মুলায় ফিরতে চাইছেন নির্বাচকেরাও। যদিও জুরেলকে টেস্ট এবং এক দিনের দলের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে ভাবা হচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারে।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ভারতের প্রথম ম্যাচ ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সঙ্গে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত-পাকিস্তান লড়াই। প্রতিযোগিতার আয়োজক পাকিস্তান হলেও ভারতীয় দলের সব ম্যাচ হবে দুবাইয়ে।