তিন বছর দায়িত্ব সামলানোর পরে বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ ছেড়েছেন সৌরভ। —ফাইল চিত্র
বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ‘ষড়যন্ত্র’ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা খারিজ হয়ে গেল। সোমবার মামলার শুনানিতে সৌরভের আইনজীবী জানান, রজার বিন্নীর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হওয়া নিয়ে কোনও আপত্তি নেই সৌরভের। বিন্নীর প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সৌরভের এই সাক্ষ্যর পরে মামলাটি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারীকে জরিমানা করা হয়েছে। পরে অবশ্য তা মকুব করে দেওয়া হয়।
কলকাতা হাই কোর্টে মামলাটি করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, বিসিসিআই একটি স্বাধীন সংস্থা। সঠিক পদ্ধতিতে সভাপতি নির্বাচন করার অধিকার তাদের রয়েছে। তাই এই বিষয়ে কোনও জনস্বার্থ মামলা আদালত গ্রহণ করতে পারে না।
আদালতে উপস্থিত ছিলেন সৌরভের আইনজীবীও। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে সৌরভের তিন বছরের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। তিনি সাফল্যের সঙ্গে নিজের কাজ করেছেন।’’ প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, নির্বাচনের মাধ্যমে কি বিন্নীকে সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয়েছে? জবাবে সৌরভের আইনজীবী বলেন, ‘‘হ্যাঁ। নির্বাচনের মাধ্যমেই নিয়োগ করা হয়েছে। দ্বিতীয় বার নির্বাচনে আর মনোনয়ন জমা দেননি তিনি। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিন্নী। তাঁর প্রতি সৌরভের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’’
এ কথা শোনার পরে প্রধান বিচারপতি জানান, যাঁকে নিয়ে মামলা তিনিই জানাচ্ছেন কোনও অনিয়ম হয়নি। তাই মামলাটি খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি সৌরভের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘যে হেতু আপনার বিষয়ে মামলা করা হয়েছে, তাই আপনি কি চান এই মামলায় মামলকারীকে জরিমানা করা হোক?’’ জবাবে তিনি ‘না’ বললেও মামলাকারী রমাপ্রসাদকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে মামলাকারী ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় সেই জরিমানাও মকুব করে দেন বিচারপতি।