ঈশান কিশন। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহের নির্দেশের পরেও রঞ্জি ট্রফি খেলছেন না ঈশান কিশন। এমন অবাধ্য ক্রিকেটারকে কেমন শাস্তি দেওয়া উচিত, তা দেখিয়ে দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। অবাধ্য হ্যারিস রউফকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দিয়েদিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা।
ঈশান যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলতে চাননি, তেমন রউফও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলতে চাননি। ঈশান নিজের অবস্থান সম্পর্কে দীর্ঘ দিন অন্ধকারে রেখেছিলেন বোর্ড কর্তাদের। এমনকি ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেট কর্তারাও তাঁর সম্পর্কে কিছু জানতেন না। রউফ আবার দেশের হয়ে খেলতে না চাইলেও অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ খেলতে গিয়েছিলেন। জাতীয় দলের প্রতি পাক জোরে বোলারের দায়বদ্ধতা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। রউফের আচরণ ভাল ভাবে নেননি পিসিবি কর্তারা।
শাস্তি হিসাবে রউফের কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিল করল পিসিবি। পাক বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রউফের কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে চুক্তি বাতিল হিসাবে বিবেচিত হবে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত অন্য দেশে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না তাঁকে। দেশের হয়ে টেস্ট সিরিজ় খেলতে না চাওয়ার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ দেখাতে পারেননি রউফ। কারণ পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ় চলার সময়ই বিগ ব্যাশ লিগ খেলতে গিয়েছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের দলের নিয়মিত সদস্য রউফ। টেস্ট দলে সব সময় সুযোগ পান না। এখনও পর্যন্ত দেশের হয়ে একটি মাত্র টেস্ট খেলেছেন তিনি। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ়ে জোরে বোলার রউফকে পাঠাতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের নির্বাচকেরা। কিন্তু তিনি নিজেকে সরিয়ে নেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে পাকিস্তানের খারাপ ফলের পরই রউফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পিসিবি কর্তারা। সেই মতোই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁর কেন্দ্রীয় চুক্তি খারিজ করা হয়েছে।