এক মাসে বিয়ে করলেন পাকিস্তানের জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার। প্রতীকী ছবি।
লোকেশ রাহুলের মতোই বিয়ে সেরে ফেললেন আরও এক ক্রিকেটার। তিনি পাকিস্তানের শাদাব খান। পাক অলরাউন্ডারের স্ত্রীও ক্রিকেট পরিবারের কন্যা। গত এক মাসে এই নিয়ে তিন জন পাক ক্রিকেটার নিকাহ সেরে ফেললেন। এর আগে বিয়ে করেছেন হ্যারিস রউফ এবং শান মাসুদ।
কিছুটা চুপচাপই বিয়ে সারলেন শাদাব। বিশেষ কাউকেই আমন্ত্রণ জানাননি তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দু’পরিবারের হাতে গোনা কয়েক জন ঘনিষ্ঠ। বিয়ে নিয়ে বিশেষ হইচই চাননি ২৪ বছরের অলরাউন্ডার। হইচই চাননি তাঁর শ্বশুর সাকলিন মুস্তাকও। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের মেয়ে সানা সাকলিনকে বিয়ে করেছেন এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সেরা অলরাউন্ডার। সমাজমাধ্যমে নিজের বিয়ের কথা জানিয়েছেন শাদাব। তিনি লিখেছেন, ‘‘নিকাহ সেরে ফেললাম। এই দিনটা আমার জীবনে খুব বড়। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলাম। আশা করি আমার এবং স্ত্রী, পরিবারের পছন্দকে আপনারা সম্মান করবেন। সকলে আমাদের ভালবাসা নেবেন।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘আমার আদর্শ সাকি ভাইয়ের পরিবারের অংশ হতে পেরে ভাল লাগছে। যখন ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিলাম, তখন থেকেই পরিবারকে ক্রিকেট থেকে আলাদা রেখেছি। আমার পরিবারের সদস্যরা প্রচারের আলোয় থাকতে পছন্দ করেন না। আমার স্ত্রীও একই কথা বলেছেন। তিনিও জীবনের গোপনীয়তা রক্ষা করতে চান। প্রচারের মধ্যে আসতে চান না। সকলকে অনুরোধ করব, ওঁদের পছন্দকে সম্মান করার জন্য।’’ এর পর মজা করে লিখেছেন, ‘‘এর পরেও কেউ উপহার দিতে চাইলে আমার অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠিয়ে দেব।’’
বিয়ের অনুষ্ঠানে সতীর্থদেরও আমন্ত্রণ জানাননি শাদাব। বাবর আজ়মদের আমন্ত্রণ জানাননি তাঁদের কোচও। যদিও শাদাব সমাজমাধ্যমে বিয়ের খবর জানাতেই তাঁর সতীর্থরা অভিনন্দন, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মাঠের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের ক্রিকেটাররা শাদাবকে যথেষ্ট সমীহ করেন। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ইমাম উল হক লিখেছেন, ‘‘শ্যাডি (এই নামে ডাকেন সতীর্থরা) তোমাকে অনেক অভিনন্দন। তবে ভাবির জন্য একটু চিন্তা হচ্ছে। ঈশ্বর ওকে শক্তি দিন।’’ শাদাব এবং সানাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও।
সম্প্রতি ঘরের মাঠে পর পর সিরিজ় হারের জন্যই শাদাব এবং সাকলিন বিয়ে নিয়ে বেশি হইচই চাননি বলে মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ।