India vs New Zealand 2023

খেলায় একটিই বদল করেছেন শুভমন, সিরিজ় সেরা হয়ে নিজেই জানালেন

২০১৬-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ়ে ৩৬০ রান করেছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ়ে সেই কৃতিত্ব স্পর্শ করলেন শুভমন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৪৮
Share:

মঙ্গলবার ম্যাচের পর নিজের সাফল্যের রহস্য জানালেন শুভমন। ছবি: আইসিসি।

নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে দ্বিশতরান। তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে শতরান। তিন ম্যাচের সিরিজ়ে তরুণ ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬০ রান। তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ়ে বাবর আজ়মের সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করেছেন শুভমন। স্বভাবত তাঁকেই সিরিজ়ের ক্রিকেটার হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। নিজের পারফরম্যান্সে খুশি শুভমন। মঙ্গলবার ম্যাচের পর পুরস্কার নিতে এসে সে কথা স্বীকারও করে নিলেন।

Advertisement

এই সাফল্যের রহস্য কী? শুভমন বলেছেন, ‘‘ভাল খেলতে পারলে একটা সুন্দর অনুভূতি তৈরি হয়। বিষয়টা বেশ সন্তোষজনক। আমি খেলার ধরন খুব একটা পরিবর্তন করিনি। আমি শুধু শুরুটা একটু বড় করে করার চেষ্টা করছি। নিজেকে আরও ভাল ভাবে প্রয়োগ করতে চাইছি। পরিবেশ এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। রান হল সে দিকে তাকাচ্ছি না।’’ মঙ্গলবারের ম্যাচে ৭৮ বলে ১১২ রান করেছেন শুভমন। মেরেছেন ১৩টি চার এবং পাঁচটি ছয়।

নিজের কথা বলার পাশাপাশি শুভমন প্রশংসা করেছেন দলের বোলারদের। বলেছেন, ‘‘আমাদের বোলাররা সত্যিই দারুণ বল করছে। এই উইকেটে বল করা সহজ ছিল না। এখানে যে কোনও রানই তোলা সম্ভব। তাও ওরা দারুণ বল করল।’’

Advertisement

২০১৬-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ় খেলেছিল পাকিস্তান। সেই সিরিজ়ে তিন ম্যাচেই শতরান করেছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজ়ম। তিন ম্যাচে তাঁর মোট রান ছিল ৩৬০। সেই একই পরিমাণ রান করলেন শুভমনও। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে ২০৮ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত থাকেন ৪০ রানে। তৃতীয় ম্যাচে করলেন ১১২। ভারতীয়দের মধ্যেও শুভমনই সর্বোচ্চ। এত দিন এই নজির ছিল বিরাট কোহলির। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বছরের শুরুর সিরিজ়ে এই নজির গড়েছিলেন তিনি। তিনটি ম্যাচে কোহলির রান ছিল মোট ২৮৩। সেই নজির ন’দিনেই ভেঙে দিলেন শুভমন।

অন্য দিকে ম্যাচের সেরা হয়ে খুশি শার্দূল ঠাকুরও। তিনি বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। নিজেকেই প্রশ্ন করি কী করা উচিত। যদিও বেশি ভাবার অবকাশ থাকে না। বল বা ব্যাট হাতে পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হয় আমাদের। এখনকার আধুনিক ক্রিকেটে সকলেই ব্যাটিং বেশি উপভোগ করে। কারণ, খেলাটাই এখন ব্যাটার জন্য হয়ে গিয়েছে। তাই নয় কী?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement