বাবরদের থেকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট চাইছেন সাকলাইন। —ফাইল ছবি
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিততে লাহৌরের তৃতীয় ম্যাচে কঠিন ক্রিকেট খেলবে পাকিস্তান। বাবর আজমদের টেস্ট জেতার জন্য ঝাঁপাতে নির্দেশ দিয়েছেন কোচ সাকলাইন মুস্তাক।
রাওয়ালপিণ্ডিতে প্রথম টেস্টে দাপট দেখিয়েও জয় অধরা ছিল। করাচির দ্বিতীয় টেস্টে শেষ দু’দিন প্রায় পুরো সময় ব্যাট করে হার বাঁচিয়েছে পাকিস্তান। তৃতীয় টেস্টে এমন কিছু চাইছেন না পাকিস্তানের কোচ। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে বাবরদের জয়ের জন্য ঝাঁপাতে নির্দেশ দিয়েছেন সাকলাইন।
করাচির শেষ দু’দিন দলের লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে সাকলাইন বলেছেন, ‘‘যে ভাবে আমরা লড়াইয়ে ফিরেছি, তার পর আশাবাদী হওয়াই যায়। ফলাফলের লক্ষ্যে আমরা কঠিন ক্রিকেট খেলতে চাই তৃতীয় এবং নির্ণায়ক টেস্টে। সেটা আমাদের টেস্ট সিরিজ জিততেও সাহায্য করবে। শেষ টেস্টে কঠিন ক্রিকেট খেলার জন্য আমরা প্রস্তুত।’’ পাকিস্তান কোচ মেনে নিয়েছেন, দলের প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনায় কিছু ত্রুটি ছিল। যদিও সাকলাইনের মতে, ভুল থেকেই শেখে মানুষ।
সাকলাইন মনে করেন না প্রথম দু’টি টেস্টের উইকেট বাবকদের শক্তির কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছিল। এ নিয়ে বলেছেন,‘‘দ্বিতীয় টেস্টের উইকেট একটু মন্থর ছিল। কিন্তু ওখানে কয়েকটা স্মরণীয় পারফরম্যান্স হয়েছে। একটা ভাল টেস্টের জন্য যা যা দরকার সব কিছুই ছিল ওই উইকেটে। স্পিনাররা সাহায্য পেয়েছ। ফাস্ট বোলাররা রিভার্স সুইং পেয়েছে। কিছুটা অসমান বাউন্সও ছিল। দুটো দলই ভাল খেলেছে এবং একটা মনে রাখার মতো ম্যাচ উপহার দিয়েছে।’’ রাওয়ালপিণ্ডির উইকেট নিয়ে সাকলাইনের মত, সেখানকার আবহাওয়ার জন্যই উইকেট একটু বেশি মন্থর হয়ে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া ভারী রোলার ব্যবহার করাতেও পিচ কিছুটা মন্থর হয়ে যায় বলে তাঁর দাবি। বলেছেন, ‘‘আবহাওয়া ঠিক থাকলে আরও ৬০-৭০ ওভার খেলা যেত ওখানে। তাতে ফলাফল আসতে পারত।’’
দ্বিতীয় টেস্ট অমীমাংসিত রাখতে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা হাজারের বেশি বল খেলে নজির তৈরি করেছে জানিয়ে সাকলাইন বলেছেন, ‘‘ছেলেরা দেখিয়েছে ওদের চারিত্রিক দৃঢ়তা কতটা। প্রায় সকলেই বলেছিল, ম্যাচ বাঁচানো অসম্ভব হবে আমাদের পক্ষে। আমরা হাজারের বেশি বল খেলে হার বাঁচিয়েছি। মনে রাখতে হবে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল, যারা সম্প্রতি ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে।’’
সোমবার থেকে লাহৌরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুরু হবে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় তথা সিরিজের শেষ টেস্ট। রাওয়ালপিণ্ডির উইকেট নিয়ে তীব্র সমালোচনার পর গদ্দাফির বাইশ গজের পরিচর্যার জন্য আইসিসি অ্যাকাডেমির প্রাক্তন প্রধান পিচ প্রস্তুতকারী টবি লামসডেনকে নিয়ে এসেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তাই আশা করা হচ্ছে শেষ টেস্টের উইকেট থেকে ব্যাটার এবং বোলাররা সমান সাহায্য পাবেন এবং একটা উত্তেজক টেস্ট দেখতে পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের প্রথম বার পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।