রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা। ছবি: সংগৃহীত।
২৯ বছর পর আবার কোনও আইসিসি ট্রফি আয়োজিত হচ্ছে পাকিস্তানে। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেই প্রতিযোগিতায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ১৭ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হচ্ছে। নিরাপত্তার কড়াকড়িতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না মহসিন নকভিরা।
পাক বোর্ড সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পঞ্জাব প্রদেশের সরকার নিরাপত্তা পাকা করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির হোটেল ও মাঠে কী রকম নিরাপত্তা থাকবে তার প্রস্তুতি চলছে। জানা গিয়েছে, স্টেডিয়াম, হোটেল ও দলগুলির নিরাপত্তার জন্য ১২,৫০০ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হবে। তার মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার নিরাপত্তারক্ষীকে তৈরি রাখা হবে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার জন্য। বাকিরা হোটেলে নিরাপত্তা দেবেন। তাঁদের মধ্যে কম্যান্ডোরাও থাকবেন।
করাচির মাঠে নিরাপত্তার জন্য কথাবার্তা শুরু করেছেন সিন্ধ প্রদেশের সরকার। মাঠ ও স্টেডিয়ামে অন্তত ৫ হাজার নিরাপত্তারক্ষী রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু পুলিশ নয়, নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত রাখা হবে দেশের সেনাকেও। দরকার পড়লে তাদের কাজে লাগানো হবে।
১৯৯৬ সালে শেষ বার আইসিসি প্রতিযোগিতা হয়েছিল পাকিস্তানে। তার পরে ২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব প্রথমে তাদের দেওয়া হয়। কিন্তু নিরাপত্তার কারণেই পাকিস্তানের বদলে বাংলাদেশকে দায়িত্ব দেয় আইসিসি। ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল পাকিস্তান। ভারত যেতে না চাওয়ায় পাকিস্তানের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় খেলা হয়। ভারত সব ম্যাচ সেখানে খেলে। এ বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভারত পাকিস্তানে খেলতে যেতে চায়নি। ফলে ভারতের ম্যাচ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দুবাইয়ে। এ বারও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়েছে ভারত। সেই কারণেই হয়তো সুরক্ষার এত কড়াকড়ি করছে পাকিস্তান। কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না তারা।