বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র
ভারতের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপে দশ দলের কোনও ক্রিকেটারই গোমাংস খেতে পারবেন না। পুষ্টির জন্য অন্য খাবারের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে তাঁদের। সেই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তানও। সাত বছর পর হায়দরাবাদে পা দিয়েই তাই অন্য খাবারে পেট ভরাতে হয়েছে বাবর আজ়মদের।
বুধবার রাতে হায়দরাবাদে পৌঁছেছে পাকিস্তান। হোটেলে ঢুকেই হায়দরাবাদি বিরিয়ানি খেয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা। তবে বিরিয়ানি খেয়ে তো আর গোটা প্রতিযোগিতা চালানো যাবে না। তাই মুরগির মাংস (চিকেন), খাসির মাংস (মটন), মাছের বিভিন্ন পদের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে বাবরদের। পাকিস্তানের খাবারের তালিকায় রয়েছে ভেড়ার মাংসের চপ, মটন কারি, বাটার চিকেন ও গ্রিলড ফিশ।
খেলা চলাকালীন সাজঘরে পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা কী খাবেন তারও একটি তালিকা মাঠকর্মীদের দেওয়া হয়েছে। সেখানে রয়েছে, বাসমতী চালের ভাত, নিরামিশ পোলাও এবং স্পাগেটি ইন বোলোগনিস সস। অস্ট্রেলিয়ার প্রয়াত ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন ভারতে থাকাকালীন এই পদ খেতে খুব ভালবাসতেন। প্রায় দু’সপ্তাহ হায়দরাবাদে থাকবেন বাবরেরা। তাই মাঝেমধ্যে বিরিয়ানি খাবেন তাঁরা।
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাত বছর পরে ভারতে এসেছে পাকিস্তান। ২০১৬ সালের দলে যাঁরা ছিলেন তাঁদের প্রায় কেউই নেই এই দলে। আঘা সলমন ও মহম্মদ রিজওয়ান ছাড়া বাকি সবাই এই প্রথম ভারতে এসেছেন। হায়দরাবাদে পৌঁছে যে আতিথেয়তা তাঁরা পেয়েছেন তার জন্য সমাজমাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাবর, শাহিনেরা। সেখানকারা খাবারের প্রশংসাও করেছেন তাঁরা।
শুক্রবার পাকিস্তানের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ নিউ জ়িল্যান্ড। সেই ম্যাচের আগে এক বার মাঠে গিয়ে অনুশীলন করেছেন বাবরেরা। ৬ অক্টোবর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে পাকিস্তান। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। ১০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ম্যাচও হায়দরাবাদে। তার পরেই আমদাবাদে যাবে পাকিস্তান। ১৪ অক্টোবর নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন বাবরেরা।