(বাঁ দিকে) শান মাসুদ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। ছবি: সংগৃহীত।
একটি হারে বদলে গিয়েছে ছবি। বাংলাদেশের কাছে হারের পরে পাকিস্তান দলে বিবাদের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। অধিনায়ক শান মাসুদকে কি মেনে নিতে পারছেন না দলের ক্রিকেটার শাহিন শাহ আফ্রিদি? নইলে কেন এই ছবি দেখা গেল?
ম্যাচ শেষে মাঠের ধারে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা। টেস্টে প্রথম বার বাংলাদেশের কাছে হারের পরে স্বভাবতই সকলে হতাশ ছিলেন। অধিনায়ক মাসুদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন শাহিন। কথা বলার সময় মাসুদ তাঁর কাঁধে হাত রাখেন। সঙ্গে সঙ্গে হাত সরিয়ে দেন শাহিন। ঘটনায় মাসুদও কিছুটা অবাক হয়ে যান। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি মাসুদকে অধিনায়ক হিসাবে মানছেন না শাহিন? দলের অন্দরে বাকিরাও কি শাহিনের মতোই ভাবছেন? তারই প্রভাব কি খেলার উপর পড়ছে?
টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে পাকিস্তানের সাজঘরে রেগে যেতে দেখা গিয়েছিল মাসুদকে। কোচ জেসন গিলেসপির সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। সে দিন ফিল্ডিং করার সময় বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিমের সহজ ক্যাচ ছেড়েছিলেন বাবর আজ়ম। জানা গিয়েছে, ক্যাচ ফস্কানোয় বাবরের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন মাসুদ। সেই বিষয়েই কোচের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ডিক্লেয়ার দেয় পাকিস্তান। শতরান করেন সাউদ শাকিল ও মহম্মদ রিজ়ওয়ান। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান করে বাংলাদেশ। তাদের হয়ে ১৯১ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ৯৩ রান করেন শাদমান ইসলাম। পাকিস্তানের থেকে ১১৭ রান এগিয়ে শেষ করে বাংলাদেশ। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অল আউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে ১১৩ ওভার ব্যাট করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫৫.৫ ওভার ব্যাট করতে পারে তারা। ব্যাটিং ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয় বাবরদের। চতুর্থ উইকেটে মাত্র ৩০ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১০ উইকেটে টেস্ট জেতে তারা।