উচ্ছ্বাস পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। ছবি: রয়টার্স।
প্রথমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে হার। তার পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হার। পাকিস্তান শেষ টেস্ট জিতেছিল ৪৫০ দিন আগে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গত বছর জিতেছিল তারা। শুক্রবার আবার জিতল। সেটাও আবার বেন স্টোকসের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। বাবর আজ়ম, শাহিন শাহ আফ্রিদিদের বাদ দিয়ে খেলতে নেমে পাকিস্তান জিতল ১৫২ রানে।
প্রথম টেস্টে পাকিস্তান হেরেছিল ইনিংস এবং ৪৭ রানে। মনে করা হচ্ছিল এই সিরিজ়ে পাকিস্তানের পক্ষে ফেরত আসা কঠিন হবে। প্রশ্ন উঠেছিল মুলতানে প্রথম টেস্ট যে পিচে হয়েছে, সেই পিচেই দ্বিতীয় টেস্ট হওয়া নিয়ে। পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রাম দেয় নাসিম শাহ, বাবর এবং শাহিনকে। প্রথম দলের তিন জনকে বাদ দিয়ে খেলতে নামলেও পাকিস্তানের জিততে অসুবিধা হয়নি।
বাবরের বদলে দলে আসেন কামরান গুলাম। অভিষেক টেস্টেই শতরান করেন তিনি। পাকিস্তান করে ৩৬৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড শেষ হয়ে যায় ২৯১ রানে। ইংরেজ ওপেনার বেন ডাকেট ১১৪ রান করেন। বাকি ব্যাটারেরা তেমন রান পাননি। পাকিস্তানের হয়ে অফ স্পিনার সাজিদ খান তুলে নেন ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২১ রান করে পাকিস্তান। সলমন আঘা করেন ৬৩ রান। ইংল্যান্ডের সামনে ২৯৭ রানের লক্ষ্য রেখেছিল শান মাসুদের দল।
মুলতানের পিচে চতুর্থ ইনিংসে ২৯৭ রান করার কাজটা সহজ ছিল না। ইংল্যান্ড হার মানল স্পিনের বিরুদ্ধে। চতুর্থ ইনিংসে একের পর এক ব্যাটার এলেন এবং স্পিন খেলতে না পেরে উইকেট দিয়ে গেলেন। উইকেট নেওয়ার শুরুটা করেছিলেন সাজিদ। ম্যাচে ৯ উইকেট নেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলি। জো রুট, বেন স্টোকসেরা তাঁর শিকার। নোমান দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট নেন।
৩৮ বছরের নোমান পাকিস্তানের হয়ে ১৬টি টেস্ট খেলেছেন। নিয়েছেন ৫৮টি উইকেট। এই প্রথম কোনও ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন তিনি। মুলতানে প্রথম ইনিংসে তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন নোমান। দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন আটটি। নোমান এবং সাজিদ মিলেই ইংল্যান্ডের ২০টি উইকেট তুলে নিলেন।