বাবর আজম। — ফাইল চিত্র।
এশিয়া কাপে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে অনায়াসে হারিয়ে দিল পাকিস্তান। বুধবার লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে সাত উইকেটে জিতল বাবর আজমের দল। পাকিস্তানকে জেতাতে মুখ্য ভূমিকা নিলেন ওপেনার ইমাম উল হক (৭৮)। প্রথমে ব্যাট করে ১৯৩ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মেহেদি হাসানকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে সফল হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ডাহা ব্যর্থ তিনি। প্রথম বলেই উইকেট খোয়ালেন। দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। উইকেটে যে-ই আসছিলেন কেউই টিকতে পারছিলেন না।
পাকিস্তানের পেসারদের সামনে দিশেহারা হয়ে যায় বাংলাদেশ। শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ এবং নাসিম শাহেরা তখন লাহোরের পিচে আগুন ঝরাচ্ছেন। ১৬ রানের মাথায় শাহিনের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন দাস। এর পরে অল্প সময়ের মধ্যে মহম্মদ নইম এবং তৌহিদ হৃদয়কে হারায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু হয় অধিনায়ক শাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। দলের তরুণ ক্রিকেটারেরা যখন ব্যর্থ, তখন ক্রিজ কামড়ে পড়ে থেকে লড়াই চালিয়ে যান দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শাকিব এবং মুশফিকুর। পঞ্চম উইকেটে দু’জনে ১০০ রানের জুটি। সেই জুটি টিকে থাকলে আরও বড় রান করতে পারত বাংলাদেশ।
কিন্তু আগ্রাসী হওয়ার মাশুল চোকালেন শাকিব। ফাহিম আশরফের বলে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারির ধারে ফখর জমানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এর পরেই ধসে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। একের পর এক ব্যাটার আসছিলেন এবং ফিরে যাচ্ছিলেন। মুশফিকুর (৬৪) একাই লড়াই চালাচ্ছিলেন। তিনি ফিরে যাওয়ার পরে বাংলাদেশের ইনিংস বেশি ক্ষণ টেকেনি। পাকিস্তানের পেসারেরা এ দিনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন। বিশেষ করে হ্যারিস রউফ। ছ’ওভার বল করে ১৯ রান খরচ করে তিনি তুলে নেন চার উইকেট। নাসিম শাহ তিনটি এবং শাহিন একটি উইকেট নেন।
পাকিস্তানের শুরুটা ভালই হয়েছিল। তাদের ইনিংসের শুরুর দিকে একটি ফ্লাডলাইট নিভে যায়। খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ২০ মিনিট। তাতেও দুই ওপেনারের মনঃসংযোগ খুব একটা ব্যাঘাত ঘটেনি। ফখর (২০) খুব বেশি রান করতে না পারলেও আগ্রাসী খেলে রান তাড়া করছিলেন ইমাম।
দেশের মাটিতে বাবরের ব্যাটে বড় রান আশা করেছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু পাকিস্তানের অধিনায়ক হতাশই করলেন। তাসকিন আহমেদের একটি বল আচমকাই ভেতরে ঢুকে আসে। বাবর ব্যাট দিয়ে রক্ষণাত্মক শট খেলতে চাইলেন কানায় লেগে তা স্টাম্প ভেঙে দেয়।
উইকেটকিপার মহম্মদ রিজ়ওয়ান এবং ইমামকে অবশ্য টলানো যায়নি। দু’জনে তৃতীয় উইকেটে ৮৫ রান যোগ করেন। ওখানেই বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যায়। তাসকিন এবং শোরিফুল ইসলাম বাদে বাংলাদেশের আর কোনও বোলারকেই ভাল লাগেনি। স্পিনারদের দিয়ে বল করালেও লাভ হয়নি।