মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
গত বছর ১৯ নভেম্বর এক দিনের বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ খেলেছিলেন। পায়ের চোট সারিয়ে মহম্মদ শামি বাংলার হয়ে রঞ্জি ম্যাচে নেমেছেন গত ১৩ নভেম্বর। ২২ গজের লড়াইয়ে ফিরেই মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে বাংলার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকলেন দেশের অন্যতম জোরে বোলার। বাংলার জয়ের পর আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি শামি।
মাঠের বাইরে থাকা কতটা কষ্টের, তা বোঝেন শুধু খেলোয়াড়েরাই। শামিকেও মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে টানা ৩৫৮ দিন। প্রায় এক বছর। মাঠে ফিরে প্রথম ম্যাচেই শামি বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর ক্রিকেটীয় দক্ষতার ধার কমেনি। বাংলার হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচে ৭ উইকেট। ব্যাট হাতেও লড়াই করেছেন। প্রথম ইনিংসে ২ রানে আউট হয়ে গেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে চাপের মুখে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মূল্যবান ৩৭ রান। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বাংলার জয়ে অবদান রাখতে পেরে তৃপ্ত শামি।
শনিবারের জয় সমর্থকদের উৎসর্গ করেছেন শামি। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘মনে রাখার মতো একটা ম্যাচ। রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার রুদ্ধশ্বাস ১১ রানে জয়। ম্যাচের প্রতিটি রান, প্রতিটি উইকেট, প্রতিটি মুহূর্ত আপনাদের জন্য উৎসর্গীকৃত। আমার ভক্তদের জন্য উৎসর্গ করছি সব কিছু। আপনাদের ভালবাসা এবং সমর্থন সব সময় আমাকে নিজের সেরাটা দিতে উৎসাহিত করে। আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আসুন এ বারের মরসুমটাকে চির দিনের জন্য স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করি।’’
প্রায় এক বছর পর মাঠে ফেরা শামিকে হয়তো বাংলার হয়ে আরও একটি রঞ্জি ট্রফি ম্যাচে দেখা যাবে। তার পর বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির জন্য তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠাতে পারেন জাতীয় নির্বাচকেরা।